শিরোনাম
করোনাভাইরাস (কোভিড ১৯) মহামারিতে বিপর্যস্ত সারাবিশ্ব। ঘাতক এ ভাইরাসে গত ২৪ ঘণ্টায় বিশ্বে আট হাজার ১৬৯ জনের মৃত্যু হয়েছে। একই সময়ে নতুন করে আক্রান্ত হয়েছেন আরও চার লাখ ৫৫ হাজার ৬৪৪ জন। আর সুস্থ হয়ে বাসায় ফিরেছেন পাঁচ লাখ পাঁচ হাজার ৭৩৬ জন।
বুধবার (২২ সেপ্টেম্বর) সকাল সাড়ে ৮টায় করোনাবিষয়ক আন্তর্জাতিক ওয়েবসাইট ওয়ার্ল্ডোমিটার থেকে এসব তথ্য জানা গেছে।
সর্বশেষ তথ্যানুযায়ী, বিশ্বে করোনায় এখন পর্যন্ত মৃত্যু হয়েছে ৪৭ লাখ ২১ হাজার ৬৩২ জনের। আর মোট আক্রান্ত হয়েছে ২৩ কোটি দুই লাখ ৭৮ হাজার ৫১৯ জন। এর মধ্যে সেরে উঠেছেন ২০ কোটি ৬৯ লাখ ৯৫ হাজার একজন।
করোনায় সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। যা এখনও অব্যাহত রয়েছে। দেশটিতে এখন পর্যন্ত আক্রান্ত হয়েছে চার কোটি ৩২ লাখ ৪২ হাজার ৩০২ জন। এর মধ্যে মারা গেছেন ছয় লাখ ৯৬ হাজার ৮৬৭ জন। আর সুস্থ হয়েছেন তিন কোটি ২৮ লাখ ৩০ হাজার ২৫ জন।
তালিকার দ্বিতীয় অবস্থানে রয়েছে ভারত। দেশটিতে এখন পর্যন্ত করোনা আক্রান্ত হয়েছে তিন কোটি ৩৫ লাখ ৩০ হাজার ৭৭ জনের। এর মধ্যে মারা গেছেন চার লাখ ৪৫ হাজার ৮০১ জন। আর তিন কোটি ২৭ লাখ ৭৬ হাজার ২০৭ জন সেরে উঠেছেন।
তালিকার তৃতীয় অবস্থানে থাকা ল্যাটিন আমেরিকার দেশ ব্রাজিলে সংক্রমিতের সংখ্যা দুই কোটি ১২ লাখ ৪৭ হাজার ৬৬৭ জন। এর মধ্যে পাঁচ লাখ ৯১ হাজার ৫১৮ জন মারা গেছেন। আর সুস্থ হয়েছেন দুই কোটি দুই লাখ ৮০ হাজার ২৯৪ জন।
তালিকায় এরপরের স্থানগুলোতে রয়েছে যথাক্রমে যুক্তরাজ্য, রাশিয়া, ফ্রান্স, তুরস্ক, ইরান, আর্জেন্টিনা, কলম্বিয়া, স্পেন ও ইতালি।
তালিকায় বাংলাদেশের অবস্থান ২৮ নম্বরে। দেশে এখন পর্যন্ত মোট করোনা রোগী শনাক্ত হয়েছেন ১৫ লাখ ৪৫ হাজার ৮০০ জন। তাদের মধ্যে মারা গেছেন ২৭ হাজার ২৭৭ জন। আর ১৫ লাখ চার হাজার ৭০৯ জন সুস্থ হয়েছেন।
২০১৯ সালের ডিসেম্বরে চীনের উহানে প্রথম করোনাভাইরাস শনাক্ত হয়। এ ভাইরাসে দেশটিতে প্রথম মৃত্যু হয় ২০২০ সালের ৯ জানুয়ারি। এরপর ওই বছরের ১৩ জানুয়ারি চীনের বাইরে প্রথম করোনা রোগী শনাক্ত হয় থাইল্যান্ডে।
সংক্রমণ চীন থেকে ছড়িয়ে পড়ার পর সবচেয়ে বেশি আক্রান্ত হয় ইউরোপের কিছু দেশ ও যুক্তরাষ্ট্র। তবে দেশগুলোতে চলতি বছরের শুরুর দিকে করোনা নিয়ন্ত্রণে আসা শুরু হয়। এর বিপরীতে পরিস্থিতি খারাপ হতে থাকে ভারতসহ এশিয়ার কিছু দেশে। তবে ভারত থেকে ছড়িয়ে পড়া ডেল্টা ভ্যারিয়েন্টের সংক্রমণে যুক্তরাষ্ট্রসহ বিশ্বের বেশ কয়েকটি দেশের অবস্থা আবারও খারাপ হচ্ছে।
এরই মধ্যে অব্যাহতভাবে টিকাদান চালিয়ে যাচ্ছে বিশ্বের প্রায় সবগুলো দেশ। কোনো কোনো দেশ টিকার বুস্টার ডোজ ও শিশুদেরও টিকাদান শুরু করেছে।