শিরোনাম
যুক্তরাষ্ট্রের কাছ থেকে সংযুক্ত আমিরাত ২৩ বিলিয়ন ডলারের অস্ত্র ও সামরিক সরঞ্জামাদি কিনতে অনাগ্রহ প্রকাশ করছে। আমিরাত বলছে, অস্ত্র কেনার বিষয়ে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে তারা আলোচনা বাতিল করছে।
মঙ্গলবার ওয়াশিংটনে আমিরাতের দূতাবাস এক বিবৃতিতে এই তথ্য জানিয়েছে।
যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক গণমাধ্যম অ্যাসোসিয়েটেড প্রেসের খবরে বলা হয়েছে, চলতি সপ্তাহের পর এফ-৩৫ এয়ারক্রাফটসহ সশস্ত্র ড্রোন ও অন্যান্য সরঞ্জাম বিক্রির বিষয়ে আমিরাতের সঙ্গে পেন্টাগনের আলোচনায় বসার কথা ছিল। কিন্তু টেকনিক্যাল বিষয়সহ সার্বভৌম কার্যকরে বাধ্যবাধকতা এবং মূল্য/সুবিধা (কস্ট বেনিফিট) বিশ্লেষণ করে আমিরাত অস্ত্র ক্রয়ের সিদ্ধান্ত পুনর্মূল্যায়ন করছে।
যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক প্রেসিডেন্ট বাইডেন প্রশাসন সর্বপ্রথম আমিরাতের সঙ্গে ২৩ বিলিয়ন ডলার মূল্যের অস্ত্র চুক্তির কথা জানিয়েছিল। এটা কয়েকটি দেশের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যস্থতায় ইসরাইলের আব্রাহাম চুক্তির (আব্রাহাম অ্যাকর্ডস) এর অংশ বিশেষ ছিল। এই চুক্তির পর সংযুক্ত আরব আমিরাত, বাইরাইন, মরক্কো ও সুদান ইহুদিবাদী ইসরাইলের সঙ্গে সম্পর্ক স্বাভাবিক করতে রাজি হয়। আর ট্রাম্প প্রশাসন আমিরাতের কাছে তাদের সর্বাধুনিক অস্ত্র বিক্রিতে রাজি হয়।
কাতারভিত্তিক গণমাধ্যম আল জাজিরার খবরে বলা হয়েছে, সংযুক্ত আমিরাত রাশিয়ার কাছ থেকে ৮০টি রাফায়েল যুদ্ধবিমান কেনার চুক্তির পর যুক্তরাষ্ট্রের অস্ত্র কেনার বিষয়ে এই অনাগ্রহ প্রকাশ করল। সম্প্রতি ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট ম্যাক্রো সংযুক্ত আরব আমিরাত সফর করেন। এই সময় আমিরাত ফ্রান্সের কাছ থেকে ১৫.৮ বিলিয়ন ডলার মূল্যের অস্ত্র কেনার চুক্তি করে।