অধিকাংশ দেশে ছড়িয়ে পড়েছে অমিক্রন, আশঙ্কা ডব্লিউএইচওর

ফানাম নিউজ
  ১৫ ডিসেম্বর ২০২১, ০৭:৫৩

করোনার অতিসংক্রামক ধরন অমিক্রন এর মধ্যেই বিশ্বের অধিকাংশ দেশে ছড়িয়ে পড়েছে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করেছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিইএইচও)। স্থানীয় সময় গতকাল মঙ্গলবার এক সংবাদ সম্মেলনে সংস্থাটির প্রধান তেদরোস আধানম গেব্রেয়াসুস এমন আশঙ্কার কথা জানান। 

ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসির খবরে বলা হয়, এখন পর্যন্ত ৭৭টি দেশে অমিক্রন শনাক্তের বিষয়টি নিশ্চিত হওয়া গেছে। তবে ডব্লিইএইচও প্রধানের ধারণা, অমিক্রন শনাক্ত হয়নি এমন অনেক দেশেই ধরনটির উপস্থিতি রয়েছে। আর তা নজিরবিহীন হারে ছড়িয়ে পড়েছে।

তেদরোস আধানম গেব্রেয়াসুস বলেন, অমিক্রন যদি শরীরে মারাত্মক জটিলতা সৃষ্টি নাও করে, এরপরও সংক্রমণের ঊর্ধ্ব হারের কারণে অপ্রস্তুত স্বাস্থ্য ব্যবস্থা বড় চাপের মুখে পড়বে। করোনার আগের ধরনগুলোর তুলনায় অনেক দ্রুত ছড়িয়ে পড়ছে অমিক্রন।

গত নভেম্বরে দক্ষিণ আফ্রিকায় প্রথম অমিক্রন শনাক্ত হয়। এরপর সেখানে দ্রুততার সঙ্গে বেড়েছে ধরনটিতে আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা। এমন পরিস্থিতিতে অনেক দেশই আফ্রিকা অঞ্চল থেকে ভ্রমণে নিষেধাজ্ঞা জারি করে। এরপরও থামেনি অমিক্রনের বিস্তার।

এদিকে অমিক্রনের বিরুদ্ধে টিকার দুটি ডোজ তুলনামূলক কম সুরক্ষা দেয় বলে গবেষণায় দেখা গেছে। এ ক্ষেত্রে বুস্টার ডোজ সুরক্ষার হার বাড়ায় বলে তথ্য মিলেছে। এর জের ধরে কয়েকটি দেশে গতি পেয়েছে টিকার বুস্টার ডোজ কার্যক্রম। মঙ্গলবারের সংবাদ সম্মেলনে এ বিষয়েও কথা বলেছেন ডব্লিইএইচও প্রধান। 

করোনার টিকা বৈষম্যের বিষয়টি তুলে ধরে তেদরোস আধানম গেব্রেয়াসুস বলেন, করোনায় আক্রান্ত হওয়ার পর মারাত্মক শারীরিক জটিলতা বা মৃত্যুর কম ঝুঁকিতে রয়েছেন এমন ব্যক্তিদের বুস্টার ডোজ দেওয়ার ফলে, যাঁরা সরবরাহের ঘাটতির কারণে এখনো প্রাথমিক ডোজগুলো পাননি তাঁদের জীবন হুমকির মুখে পড়বে।