‘ত্রিপুরা থেকে বিজেপিকে হটিয়ে বিশ্রাম নেবে তৃণমূল’

ফানাম নিউজ
  ১৪ ডিসেম্বর ২০২১, ১১:২১

ভারতের ত্রিপুরা রাজ্যে ২০২৩ সালের বিধানসভা নির্বাচনের আগে কোনো অবস্থাতেই বিশ্রাম নিতে চাইছে না তৃণমূল কংগ্রেস। বিশ্রাম যদি নিতেই হয়, তবে বিধানসভা নির্বাচনে বিজেপিকে ত্রিপুরা থেকে হটিয়ে তবেই বিশ্রাম নেবে তৃণমূল।

সোমবার (১৩ ডিসেম্বর) রাজ্যে এক সভা শেষে সাংবাদিকদের এমন কথাই জানিয়েছেন তৃণমূল কংগ্রেসের সংসদ সদস্য সুস্মিতা দেব।

তিনি বলেন, ভোট পরবর্তী পর্যালোচনা এর আগেও করেছেন প্রদেশ তৃণমূল কংগ্রেসের আহ্বায়ক সুবল ভৌমিক এবং অন্যান্য নেতারা। এছাড়া সদ্য শেষ হওয়া পৌর এবং নগর সংস্থার ভোটে যারা প্রার্থী হয়েছিলেন তাদের ডেকে স্ব-স্ব এলাকার সাংগঠনিক অবস্থান সম্পর্কে জানতে চাওয়া হয়েছে। বনমালীপুরস্থ সুবল ভৌমিকের বাসায় ওই সভায় অন্যান্যরাও উপস্থিত ছিলেন। সভা শেষে নেত্রীর অনুরোধ, আপনারা দলের যুব সমাজকে শক্তিশালী করার দিকে অধিক গুরুত্ব দিন। যতদিন না দলের যুব সমাজ শক্তিশালী হবে, ততদিন পর্যন্ত ফল পাওয়া মুশকিল।

তৃণমূলের একমাত্র বিজয়ী প্রার্থী আমবাসাপুর পরিষদের সুমন পালকে সম্বর্ধনা দেন সুস্মিতা দেব। এসময় যারা মনোনয়ন প্রত্যাহার না করে নির্বাচনী লড়াইয়ে অবতীর্ণ হয়েছেন তাদেরকে ধন্যবাদ জানান তিনি।

সুস্মিতা দেব আরও বলেন, এক সময় শাসক দল বিজেপি প্রচার চালিয়েছিলো প্রার্থী খুঁজে পাবে না তৃণমূল কংগ্রেস। এই অবস্থা থেকে ১২০টি আসনে এ বছর প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছে তৃণমূল। ভোটের ফলাফলে যদি কেউ ভয় পেয়ে থাকে তবে সেটা অবশ্যই বিজেপি পায়।

তৃণমূল কংগ্রেসের এই সংসদ সদস্য বলেন, ২০১৮ সালের বিধানসভা নির্বাচনের আগে আগরতলা পৌর নিগমের যে সাধারণ নির্বাচন হয়, তাতে মাত্র ১৪ শতাংশ ভোট পেয়েছিলো বিজেপি। এদিক থেকে তৃণমূল কংগ্রেস এ বছর প্রতিকূল পরিস্থিতির মধ্য থেকেও ২০ শতাংশের বেশি ভোট পেয়েছে।

গত কয়েকদিন কেন্দ্রীয়ভাবে তৃণমূল থেকে ত্রিপুরায় কাউকে আসতে না দেখে অনেকেই ভেবেছিলেন রাজ্যকে বোধ হয় ভুলে গিয়েছে তৃণমূল-এ কথা উল্লেখ করে সুস্মিতা দেব বলেন, কোনো ভুলাভুলি নয়, যতদিন না ত্রিপুরা থেকে বিজেপিকে হটানো যাচ্ছে ততদিন তৃণমূল কংগ্রেসের নজর থাকবে ত্রিপুরায়।

রাজ্যের পরিস্থিতি নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করে সুস্মিতা জানান, কিছুদিন আগেও সাধারণ মানুষের বিভিন্ন সমস্যা নিয়ে রাজ্যপালের দ্বারস্থ হতে চেয়েছিলেন তারা। কিন্তু তার শারীরিক অসুস্থতার কারণে তা আর হয়ে ওঠেনি। এবার ৫ জানুয়ারি তারা এ ধরনের ১৫ দফা দাবিতে রাজ্যপালের দ্বারস্থ হতে যাচ্ছেন।

সাংবাদিক সম্মেলনে প্রদেশ স্টিয়ারিং কমিটির আহ্বায়ক সুবল ভৌমিক বলেন, অনুমতির বিষয়টি এতোদিন পর্যন্ত করেছে তৃণমূল কংগ্রেস। এখন থেকে আর মিছিল-মিটিং কিংবা কোনো সভার ক্ষেত্রে অনুমতি নিতে যাচ্ছে না তারা। রাজ্য পুলিশের মহানির্দেশকের কাছে অনুমতি চেয়েও অনুমতি দেওয়া হয়নি এমন ২৭টি চিঠিতে জানতে চাওয়া হয়েছে এর কারণ। বিষয়টি নিয়ে তারা আদালতের দ্বারস্থ হবে বলেও জানান সুবল ভৌমিক।

তৃণমূল কংগ্রেসের আরেক নেতা রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, নানা কর্মসূচির মধ্য দিয়ে প্রতিবছর ১ জানুয়ারি তৃণমূল কংগ্রেস তাদের প্রতিষ্ঠা দিবস পালন করে থাকে। সেই অনুযায়ী এ বছর ত্রিপুরা রাজ্যেও পালন করা হবে দিবসটি।