শিরোনাম
ভারতে প্রথমবারের মতো করোনাভাইরাসের নতুন ধরন ওমিক্রন শনাক্ত হয়েছিল দক্ষিণ আফ্রিকাফেরত এক ব্যক্তির শরীরে। তিনি দক্ষিণ আফ্রিকারই নাগরিক। করোনা শনাক্তের পর বাধ্যতামূলক কোয়ারেন্টাইনে ছিলেন ওই ব্যক্তি। কিন্তু হঠাৎ শোনা যাচ্ছে, সেই লোক ভারত ছেড়ে নিজের দেশে চলে গেছেন। এতে চোখ কপালে উঠেছে ভারতীয় পুলিশ-প্রশাসনের।
ভারতীয় সংবাদমাধ্যমের খবর, ভুয়া করোনা নেগেটিভ রিপোর্ট দেখিয়ে ভারত ছেড়েছেন দক্ষিণ আফ্রিকার ওই নাগরিক। এতে সাহায্য করার অভিযোগে গ্রেফতার করা হয়েছে চার ভারতীয়কে।
জানা যায়, গত ২০ নভেম্বর ভারতে যান ৬৬ বছর বয়সী এক দক্ষিণ আফ্রিকান। নিয়মানুসারে ১৪ দিন কোয়ারেন্টাইনে থাকার কথা তার। সেই মতো হোটেলকে জানিয়ে রেখেছিল প্রশাসন। বলে দেওয়া হয়েছিল, তিনি যেন কোনোভাবেই বেরোতে না পারেন।
পুলিশ জানিয়েছে, করোনা পজিটিভ শনাক্ত হতেই স্বদেশে ফিরতে মরিয়া হয়ে ওঠেন ওই ব্যক্তি। এরপর হোটেলের দুই কর্মচারীর মাধ্যমে বেঙ্গালুরুর একটি বেসরকারি ল্যাবে যোগাযোগ করেন। সেখান থেকেই ভুয়া আরটি পিসিআর রিপোর্ট সংগ্রহ করেন তিনি।
গত ২৬ নভেম্বর ওই রিপোর্ট বানান ওমিক্রন আক্রান্ত ব্যক্তি। হোটেলে, বিমানবন্দরে ওই রিপোর্ট দেখান। এরপর ভারত ছেড়ে দুবাই হয়ে দক্ষিণ আফ্রিকা পাড়ি দেন সেই লোক।
গত ২ ডিসেম্বর জিনোম সিকোয়েন্সিংয়ের রিপোর্ট হাতে পায় ভারতীয় কর্তৃপক্ষ। তখন জানা যায়, ওই ব্যক্তি শুধু করোনা পজিটিভ নন, ওমিক্রনেই আক্রান্ত। কিন্তু রোগী ততক্ষণে দেশ ছেড়ে পগারপার।
এ ঘটনায় হোটেল কর্তৃপক্ষ, বেঙ্গালুরুর ওই বেসরকারি ল্যাব এবং দক্ষিণ আফ্রিকান নাগরিকের বিরুদ্ধে এফআইআর দায়ের করা হয়েছে। এরই মধ্যে ল্যাবের দুই কর্মীকে গ্রেফতার করা হয়েছে। যে দুই কর্মচারীর মাধ্যমে ওই বেসরকারি ল্যাবের সন্ধান পান দক্ষিণ আফ্রিকান, তাদেরও গ্রেফতার করেছে ভারতীয় পুলিশ।
সূত্র: জি নিউজ, হিন্দুস্তান টাইমস