শিরোনাম
যুক্তরাষ্ট্রের দক্ষিণ ও মধ্যাঞ্চলজুড়ে তাণ্ডব চালানো শক্তিশালী ঘূর্ণিঝড়ে এখন পর্যন্ত ৯৪ জনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে। এখনও নিখোঁজ রয়েছেন কয়েক ডজন মানুষ। বিধ্বস্ত এলাকায় হন্যে হয়ে জীবিতদের খোঁজে চলছে উদ্ধার কাজ। হয়তো ‘অলৌকিকভাবে’ বেঁচে থাকতে পারেন কেউ।
স্থানীয় সময় শুক্রবার (১১ ডিসেম্বর) রাতে আঘাত হানা এ ঘূর্ণিঝড়ের কবলে শুধু কেনটাকি নয়, ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে আরও পাঁচটি অঙ্গরাজ্য। শক্তিশালী প্রায় ৫০টির মতো ঘূর্ণিঝড়ের আঘাতে লণ্ডভণ্ড হয়ে গেছে বেশ কয়েকটি শহর। যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত রাজ্য কেনটাকিতে বিপর্যয় ঘোষণা করে জরুরি অবস্থা জারি করেছেন।
কেনটাকি অঙ্গরাজ্যের গভর্নর অ্যান্ডি বেশেয়ার, স্থানীয় সময় রোববার (১২ ডিসেম্বর) সাংবাদিকদের বলেন, অন্তত ৮০ জন মানুষের মৃত্যু হয়েছে ঘূর্ণিঝড়ের কবলে পড়ে। এ সংখ্যা ১০০ জনেরও বেশি হতে পারে। তারপরও তিনি আশা রাখেন, যদি ‘অলৌকিকভাবে’ কেউ বেঁচে যান। এটিই রাজ্যের ইতিহাসে সবচেয়ে ভয়াবহ ঘূর্ণিঝড় বলে আখ্যায়িত করেন বেশিয়ার।
ঘূর্ণিঝড়ে মেফিল্ডের একটি মোমবাতি কারখানাতেই মারা গেছে কয়েক ডজন মানুষ। কারখানাটির মুখপাত্র বব ফার্গুসন বলেন, কারখানাটিতে ১১০ জন মানুষ কাজ করছিলেন।
কেনটাকির মেফিল্ড শহরটিতে প্রায় ১০ হাজার লোক বসবাস করেন। শহরের প্রায় সব ঘরবাড়ি বিধ্বস্ত হয়েছে, উপড়ে গেছে গাছপালা। ভেঙে পড়েছে যোগাযোগ ব্যবস্থা, বিচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ সংযোগও। ঘূর্ণিঝড় কবলিত এলাকায় উদ্ধার কাজ চালাচ্ছে প্রায় তিনশ ন্যাশনাল গার্ড।
কেনটাকির সরকারি হিসাবে ঘূর্ণিঝড়ে আরকানসাসে ২ জন, টেনিসিতে ৪ জন, ইলিনয়ে ৬ জন এবং মিজৌরিতে ২ জন নিহত হয়েছেন।
এদিকে, মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন ঘূর্ণিঝড় কবলিত এলাকায় সহায়তার জন্য সংশ্লিষ্টদের নির্দেশ দিয়েছেন। এটিকে যুক্তরাষ্ট্রের ইতিহাসে সবচেয়ে বড় ঝড় বলেও উল্লেখ করেন তিনি।
সূত্র: আল-জাজিরা, সিএনএন