শিরোনাম
ভারতে নতুন করে চারজনের দেহে ওমিক্রন শনাক্ত হয়েছে আজ। এ নিয়ে দেশটিতে মোট ওমিক্রনে আক্রান্তের সংখ্যা দাঁড়ালো ৩৭ জনে। আক্রান্ত চার জন যথাক্রমে চণ্ডিগর, অন্ধ্রপ্রদেশ, কর্ণাটক ও মহারাষ্ট্রের। চণ্ডিগর ও অন্ধপ্রদেশে এই প্রথম ওমিক্রনে আক্রান্ত রোগী শনাক্ত হলো। তবে কর্ণাটকে এর আগেও দুইজনের করোনার নতুন ধরনটি শনাক্ত হয়। খবর এনডিটিভির।
জানা গেছে, দেশটিতে সবচেয়ে বেশি ওমিক্রন শনাক্ত হয়েছে মহারাষ্ট্রে। রাজ্যটিতে মোট আক্রান্তের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১৮ জনে। আজকে মহারাষ্ট্রের নাগপুরে যার নতুন ধরনটি শনাক্ত হয়েছে তিনি দক্ষিণ আফ্রিকা থেকে দিল্লি হয়ে এসেছেন। প্রাথমিক পরীক্ষায় তার করোনা ধরা পড়েছিল।
তাছাড়া চণ্ডিগরে যার শনাক্ত হয়েছে তিনি ইতালি থেকে এক আত্মীয়ের বাড়িতে বেড়াতে এসেছেন। এর আগে তার করোনা পজিটিভ হওয়ার কোয়ারেন্টাইনে ছিলেন। জিনোম সিকোয়েন্সিংয়ের মাধ্যমে তার ওমিক্রন শনাক্ত হয়। ইতালিতে থাকাকালীন তিনি ফাইজারের দুই ডোজ টিকা নিয়েছেন। অন্যদিকে অন্ধ্রপ্রদেশে যার ওমিক্রন শনাক্ত হয়েছে তিনি আয়ারল্যান্ড থেকে এসেছেন।
আসামের ইন্ডিয়ান কাউন্সিল অব মেডিকেল রিসার্চ ইউনিট একটি নতুন টেস্টিং কিট তৈরি করেছে যার মাধ্যমে দুই ঘণ্টার মধ্যে করোনার নতুন ধরনটি শনাক্ত করা যায়। বিমানবন্দরে পরীক্ষার জন্য যাদের দীর্ঘ সময় অপেক্ষা করতে হয় তাদের জন্য এটা স্বস্তি দায়ক হবে বলে আশা করা হচ্ছে। দেশটিতে প্রথম ওমিক্রন শনাক্ত হয় কর্ণাটকে।
গত ২৫ নভেম্বর দক্ষিণ আফ্রিকায় প্রথমবারের মতো করোনার নতুন ধরন শনাক্ত হয়। এরপর আফ্রিকান দেশগুলোর ওপর একের পর এক ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞা জারি করে ইউরোপ, যুক্তরাজ্য, যুক্তরাষ্ট্রসহ অসংখ্য দেশ। এখন পর্যন্ত বিশ্বের ৩৮টি দেশে ওমিক্রন শনাক্ত হলেও এতে মৃত্যুর খবর পাওয়া যায়নি।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার মতে, করোনার নতুন এই ধরনে সংক্রমণ বেড়ে যাওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। ওমিক্রনে এমন কিছু মিউটেশন বা রূপান্তর ঘটেছে, যার ফলে এর বিরুদ্ধে প্রচলিত টিকাগুলো কার্যকর না-ও হতে পারে। তবে বিধিনিষেধের বিষয়ে পরিস্থিতি বিবেচনায় পদক্ষেপ নিতে দেশগুলোর প্রতি আহ্বান জানিয়েছে জাতিসংঘের স্বাস্থ্য সংস্থাটি।