এবার মহাকাশ ভ্রমণে প্রথম মার্কিন নভোচারীর মেয়ে

ফানাম নিউজ
  ১৩ ডিসেম্বর ২০২১, ০১:৪৮

যুক্তরাষ্ট্রের প্রথম নভোচারী হিসেবে মহাকাশে গিয়েছিলেন অ্যালান শেপার্ড। ঠিক ছয় দশক পরে এসে একই কীর্তি গড়লেন তাঁর মেয়ে লরা শেপার্ড চার্চলে। বাবার পদাঙ্ক অনুসরণ করে তিনিও ভ্রমণে গেলেন মহাকাশে। লরাসহ মোট ছয়জন মহাকাশে গেছেন ধনকুবের জেফ বেজোসের ব্লু অরিজিন স্পেস কোম্পানির বাণিজ্যিক রকেটে চড়ে।

বিবিসির খবরে বলা হয়েছে, স্থানীয় সময় গত শনিবার টেক্সাসের ভন হর্নের নিজস্ব উৎক্ষেপণ কেন্দ্র থেকে নিজেদের নিউ শেপার্ড নামের ছয় আসনের বাণিজ্যিক রকেট মহাকাশে পাঠায় ব্লু অরিজিন। এতে ৭৪ বছর বয়সী লরাসহ ছয়জন নভোচারী ছিলেন। এই তালিকায় ছিলেন যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক ফুটবল তারকা ও টিভি শো ‘গুড মর্নিং আমেরিকার’ উপস্থাপক মিখায়েল স্ট্রাহানও।

এই ছয় মহাকাশ পর্যটক এদিন সমুদ্রপৃষ্ঠ থেকে ১০৬ কিলোমিটার পর্যন্ত উচ্চতায় উঠেছিলেন। ১০ মিনিট শূন্য মহাকর্ষের অনুভূতি উপভোগ করে তাঁরা ভূপৃষ্ঠে ফিরে আসেন। এ সময় জেফ বেজোস তাঁদের অভ্যর্থনা জানান। যদিও প্রচণ্ড বাতাসের কারণে তাঁদের এই যাত্রা দুই দিন বিলম্বিত হয়। মহাকাশে পর্যটন ব্যবসা শুরুর পর চলতি বছর এটা নিয়ে তিনটি রকেট পাঠিয়েছে ব্লু অরিজিন।

অ্যালান শেপার্ড ১৯৬১ সালের ৫ মে যখন আমেরিকানদের মধ্যে প্রথম মহাকাশ ভ্রমণ করেন, তখন লরা স্কুলে পড়তেন। পরবর্তী সময়ে ১৯৭১ সালে চাঁদের পৃষ্ঠে হাঁটেন অ্যালান। ১৯৯৮ সালে মারা যান এই মার্কিন নভোচারী। বাবার পদাঙ্ক অনুসরণ করে শৈশব থেকেই মহাকাশে যাওয়ার স্বপ্ন দেখতেন লরা।

অনুভূতি জানাতে গিয়ে লরা বলেন, ‘আমি ভাবছিলাম, বাবা যদি এটা দেখতে পেতেন। তিনি আমার এই আনন্দটা পুরোপুরি উপলব্ধি করতে পারতেন।’

এদিকে জেফ বেজোসের মহাকাশ পর্যটন ব্যবসা নিয়ে বিশ্বজুড়ে সমালোচনা চলছে। গত মাসে যুক্তরাজ্যের প্রিন্স উইলিয়াম সতর্ক করে বলেন, মহাকাশে পর্যটনের এমন উদ্যোগ তরুণ প্রজন্মের মধ্যে জলবায়ু পরিবর্তন নিয়ে দুশ্চিন্তা বাড়িয়ে দিতে পারে।