পরমাণু ইস্যুতে তিন দেশের সঙ্গে বৈঠক করলেন ব্লিঙ্কেন

ফানাম নিউজ
  ১২ ডিসেম্বর ২০২১, ১১:৫৯

মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেন যুক্তরাজ্য, জার্মানি ও ফ্রান্সের সঙ্গে বৈঠক করেছেন। এসময় তারা পরমাণু চুক্তি নিয়ে আলোচনা করেছেন। সম্প্রতি যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র দপ্তরের মুখপাত্র এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

মুখপাত্র বলেন, ব্লিঙ্কেন লিভারপুলে জার্মানি, ফ্রান্স ও যুক্তরাজ্যের প্রতিনিধিদের সঙ্গে একটি ফলপ্রসূ বৈঠক করেছেন। ইরানের সঙ্গে চলা পাঁচ জাতিগোষ্ঠীর পরমাণু চুক্তির বিষয় ছাড়াও তিন দেশের মধ্যে বিভিন্ন বিষয়ে আলোচনা হয়েছে।

কয়েক দিন বন্ধ থাকার পর ইউরোপীয় ইউনিয়নের মধ্যস্থতায় ইরানের সঙ্গে ফের পরমাণু আলোচনা শুরু হয়েছে বৃহস্পতিবার। বৈঠকে হাজির রয়েছে চীনও। ইরান অবাস্তব দাবি করছে এমন অভিযোগ তুলে এক সপ্তাহ আগে ভেস্তে গিয়েছিল পরমাণু চুক্তির আলোচনা। বৈঠকে যুক্তরাজ্য, ফ্রান্স, রাশিয়া, জার্মানি ও চীনের প্রতিনিধিরা আছেন। মধ্যস্থতা করছেন ইউরোপীয় ইউনিয়নের প্রতিনিধি এনরিক মোরা।

এর আগে পরমাণু চুক্তি নিয়ে দীর্ঘ আলোচনা শুরু হয়। কিন্তু সেই আলোচনা ভেস্তে যায়। যুক্তরাজ্যসহ অন্য দেশগুলি অভিযোগ করে, বৈঠকে অবাস্তব দাবি করছে ইরান। বৃহস্পতিবার সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে মোরা বলেন, পরমাণু চুক্তির প্রয়োজনীয়তা সবাই অনুভব করছেন। সে কারণেই ফের আলোচনায় বসতে রাজি হয়েছেন সবাই।

২০১৫ সালে স্বাক্ষরিত চুক্তি অনুযায়ী ইরান শুধু পরমাণু অস্ত্র তৈরির চেষ্টা চালাতে পারবে না। তবে আন্তর্জাতিক নজরদারির মধ্যে শান্তিপূর্ণ পরমাণু কর্মসূচি চালু রাখার অধিকার সে দেশের রয়েছে। অর্থাৎ বিদ্যুৎ উৎপাদন ও চিকিৎসার মতো ক্ষেত্রে পরমাণু শক্তি কাজে লাগানো যেতে পারে।

২০১৫ সালে ইরানকে নিয়ে অন্য দেশগুলো পরমাণু চুক্তিতে সই করে। যেখানে স্পষ্ট বলা হয়েছিল, পরমাণু অস্ত্র তৈরি করা যায়, এমন পরিমাণ ইউরেনিয়াম ইরান জমা করতে পারবে না। জাতিসংঘ ইরানের পরমাণু পরীক্ষাগারে নজরদারি চালাতে পারবে।

কিন্তু ২০১৮ সালে যুক্তরাষ্ট্র পরমাণু চুক্তি থেকে বেরিয়ে যায়। তৎকালীন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প দাবি করেন, তার পক্ষে ওই চুক্তিতে থাকা অসম্ভব। ইরানের বিরুদ্ধে এরপর একাধিক নিষেধাজ্ঞা জারি করেন তিনি। ইরানও এমন সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে সরব হয়।

ট্রাম্প চলে যাওয়ার পরে ইরান জানিয়ে দেয়, আগের চেয়ে বহু গুণ বেশি ইউরেনিয়াম সংগ্রহ করবে তারা। জাতিসংঘের কাছে তথ্য দিতেও তারা দায়বদ্ধ নয়। এরপরেই বাইডেন সরকার নতুন করে পরমাণু চুক্তি নিয়ে আলোচনা করতে উদ্যোগী হয়। গত সপ্তাহে সেই প্রক্রিয়ায় শুরু হয়েছিল। কিন্তু সে আলোচনাও মাঝপথে বন্ধ হয়ে গিয়েছিল।