‘যুদ্ধজয়ী’ সেই তুর্কি ড্রোন পাচ্ছে ইরাক?

ফানাম নিউজ
  ১২ ডিসেম্বর ২০২১, ১১:০৭

প্রতিবেশী দেশগুলোর মধ্যে দ্বিতীয় দেশ হিসেবে ইরাক ‘যুদ্ধজয়ী’ তুর্কি ড্রোন পেতে যাচ্ছে বলে খবর বের হয়েছে।

সংবাদমাধ্যম টিআরটি হাবেরের এক প্রতিবেদনের বরাতে এ তথ্য জানিয়েছে ডেইলি সাবাহ।

খবরে বলা হয়, আঙ্কারা ও বাগদাদের মধ্যে সম্পর্কের সাম্প্রতিক উন্নয়ন দেখে মনে হয়, আজারবাইজানের পর ইরাক তুরস্কের যুদ্ধজয়ী ড্রোন পাওয়া দ্বিতীয় প্রতিবেশী দেশ হতে যাচ্ছে।

ব্যাপক জনপ্রিয়তা পাওয়া তুর্কি ড্রোন বায়রাক্তার টিবি২ ইতোমধ্যে বহু দেশের কাছে বিক্রি করেছে তুরস্ক। এ ছাড়া তুরস্কে নির্মিত অন্য ড্রোনের চাহিদাও বাড়ছে।

যদিও ইরাকের সঙ্গে এমন একটি চুক্তির ভিন্ন ফলও হতে পারে বলে শঙ্কার কথা জানানো হয়েছে টিআরটি হাবেরের প্রতিবেদনে।

ওই প্রতিবেদনে বিভিন্ন আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যমের বরাতে বলা হয়, ইরাকের মন্ত্রিসভা ইতোমধ্যে ১০০ মিলিয়ন ডলার বরাদ্দ দিয়েছে ড্রোন কেনার জন্য।

এ বিষয়ে প্রতিরক্ষা ও রাজনৈতিক বিশ্লেষক হাকান কিলিক বলেন, খবরটি যদি সত্যি হয় তবে আফ্রিকা বা ইউরোপের দেশগুলোতে ড্রোন বিক্রির চেয়ে ভিন্ন ধরনের পদক্ষেপ হবে এটি। যা কোনো সাধারণ প্রতিরক্ষা চুক্তি হবে না।

রাজনৈতিক এ বিশ্লেষকের মতে, তুরস্কের সঙ্গে আজারবাইজানের সম্পর্ক প্রতিবেশির চেয়ে বেশি বলে ড্রোন বিক্রির চুক্তি হয়েছে। কিন্তু ইরাকের সঙ্গে তুরস্কের সম্পর্ক ততটা গভীর নয়। তাই এ চুক্তি হওয়া নিয়ে রয়েছে ধোঁয়াশা।

কিলিক বলেন, যদি এ চুক্তি হয় তবে ধরে নিতে হবে তুরস্ক ও ইরাকের মধ্যে বিশ্বাস একটি নির্দিষ্ট পর্যায় পর্যন্ত পৌঁছেছে। অর্থাৎ দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক এমন পর্যায়ে পৌঁছেছে যে অবস্থায় তুরস্ক নিশ্চিত যে, এসব ড্রোন তাদের বিরুদ্ধে ব্যবহার করা হবে না। যুক্তরাষ্ট্র, রাশিয়া ও চীনের সঙ্গে বন্ধুত্ব আছে ইরাকের। ইরাক যদি তুর্কি ড্রোন কেনে তবে ওই দেশগুলোর পাশাপাশি সে দেশে তুরস্কেরও একটি প্রভাব তৈরি হওয়ার সম্ভাবনা দেখা দেবে। এ ড্রোন বিক্রির সামরিক দিকও রয়েছে। ইরাক অত্যাধুনিক এ অস্ত্রের মাধ্যমে সীমান্তজুড়ে সন্ত্রাসীদের বিরুদ্ধে আরও কার্যকর অভিযান চালাতে পারবে।

বায়রাক্তার টিবি২ ড্রোন ইতোমধ্যে আজারবাইজান, কাতার ও ইউক্রেন ব্যবহার করছে। ব্যবহার করা হয়েছে সিরিয়া ও লিবিয়ায়। এ ছাড়া নাগরনো-কারাবাখ যুদ্ধের গতিপথ একপ্রকার বদলে দিয়েছে এ ড্রোন। ইউরোপের দেশ পোল্যান্ড এ ড্রোন কেনার জন্য চুক্তি সই করেছে। লাটভিয়াও এ ড্রোন কিনতে চায় বলে ইঙ্গিত দিয়েছে। তুর্কি ড্রোন কেনার আগ্রহ দেখিয়েছে আলবেনিয়াও।