শিরোনাম
ভারতে কন্যাশিশু রক্ষায় ২০১৫ সালে ‘বেটি বাঁচাও বেটি পড়াও’ প্রকল্প শুরু করেছিলেন দেশটির প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। কিন্তু পরের তিন বছরে এ নিয়ে যতটা ঢাকঢোল পেটানো হয়েছে, ততটা কাজ হয়নি। দেখা গেছে, এই সময়টুকুতে বরাদ্দের প্রায় ৮০ শতাংশ অর্থই খরচ করা হয়েছে শুধু বিজ্ঞাপনের পেছনে।
ভারতের নারীকল্যাণ বিষয়ক সংসদীয় কমিটির সাম্প্রতিক প্রতিবেদন জানাচ্ছে, ২০১৬ থেকে ২০১৯ সালের মধ্যে ‘বেটি বাঁচাও বেটি পড়াও’ প্রকল্পে মোট ৪৪৬ কোটি ৭২ লাখ রুপি বরাদ্দ দিয়েছিল কেন্দ্রীয় সরকার। তার ৭৮ দশমিক ৯১ শতাংশই খরচ হয়েছে সংবাদমাধ্যমে বিজ্ঞাপন দিতে।
২০১৫ সালের জানুয়ারি মাসে মহাধুমধাম করে এই প্রকল্পের উদ্বোধন করেছিলেন ভারতীয় প্রধানমন্ত্রী। বিজেপি সরকারের পক্ষ থেকে তখন বলা হয়েছিল, দেশটিতে লিঙ্গবৈষম্য কমানো এবং কন্যাভ্রূণ হত্যার বিরুদ্ধে সাধারণ মানুষের সচেতনতা বাড়ানোর জন্য এই উদ্যোগ দিয়েছেন নরেন্দ্র মোদী।
কিন্তু শুরু থেকেই বিরোধীদের অভিযোগ ছিল, কাজের বদলে প্রচারণাই এই প্রকল্পের মূল উদ্দেশ্য। সংবাদপত্র, টিভি চ্যানেলসহ বিভিন্ন গণমাধ্যমে ফলাও করে ‘বেটি বাঁচাও বেটি পড়াও’ প্রকল্পের বিজ্ঞাপন দিয়েছে মোদী সরকার।
দ্বিতীয় থেকে চতুর্থ বর্ষের খরচ সম্পর্কিত তথ্য বিশ্লেষণ করলে দেখা যায়, প্রকল্প বাস্তবায়নে যত খরচ হয়েছে, তার কয়েকগুণ বেশি ব্যয় হয়েছে এ সংক্রান্ত বিজ্ঞাপনে। আর এই খাতে খরচের হার বেড়েছে প্রতি অর্থবছরেই।
সূত্র: দ্য হিন্দু, আনন্দবাজার পত্রিকা