শিরোনাম
বিশ্ববাজারে আবারও ঊর্ধ্বমুখী জ্বালানি তেলের দাম। বৃহস্পতিবার কিছুটা কমলেও শুক্রবার (১০ ডিসেম্বর) আবারও বেড়েছে সবধরনের অপরিশোধিত তেলের দাম। বিশ্লেষকরা বলছেন, করোনাভাইরাসের ওমিক্রন ভ্যারিয়েন্ট নিয়ে আতঙ্ক কমে আসায় বিশ্বঅর্থনীতি আবারও গতি ফিরে পাচ্ছে এবং তেলের চাহিদা বাড়ছে। আর সে কারণেই এর দাম আগের অবস্থায় ফিরে যেতে শুরু করেছে।
বার্তা সংস্থা রয়টার্সের খবর অনুসারে, বিশ্ববাজারে অপরিশোধিত তেলের বেঞ্চমার্ক ব্রেন্ট এবং যুক্তরাষ্ট্রের ওয়েস্ট টেক্সাস ইন্টারমিডিয়েটের (ডব্লিউটিআই) দাম চলতি সপ্তাহে আট শতাংশ বেড়েছে। বিগত সাত সপ্তাহের মধ্যে এটিই প্রথমবারের মতো তাদের সাপ্তাহিক মূল্যবৃদ্ধির ঘটনা। শুধু তা-ই নয়, গত আগস্ট মাসের শেষের দিক থেকে তেলের সাপ্তাহিক মূল্যবৃদ্ধির হারেও এটিই সর্বোচ্চ।
গত বৃহস্পতিবার বিশ্ববাজারে ব্রেন্ট ক্রুড অয়েলের দাম কমেছিল ১ দশমিক ৯ শতাংশ। তবে শুক্রবার তার দাম ১ শতাংশ বা ৭৩ সেন্ট বেড়ে প্রতি ব্যারেল বিক্রি হয়েছে ৭৫ দশমিক ১৫ ডলারে।
এদিন ডব্লিউটিআইয়ের দামও একই পরিমাণে বেড়েছে। বৃহস্পতিবার ২ শতাংশ কমে যাওয়ার পর শুক্রবার এর দাম ১ শতাংশ বেড়ে বিক্রি হয়েছে ৭১ দশমিক ৬৭ ডলারে।
শিকাগোর প্রাইস ফিউচার গ্রুপের জ্যেষ্ঠ বিশ্লেষক ফিল ফ্লিনের মতে, তেল ব্যবসায়ীদের ওমিক্রন নিয়ে হঠাৎ তৈরি হওয়া দুশ্চিন্তা থেকে কেটে যাচ্ছে এবং চাহিদা পুনরুদ্ধারের বিষয়ে তারা আরও বেশি আশাবাদী হয়ে উঠছেন।
যুক্তরাষ্ট্রে গত নভেম্বর মাসে ভোগ্যপণ্যের দাম আরও বেড়েছে, যার ফলে দেশটিতে ভোক্তা মূল্যসূচক (সিপিআই) ৪০ বছরের মধ্যে সর্বোচ্চ স্তরে পৌঁছেছে। তেলের দাম বাড়ার বিষয়ে এরও বড় প্রভাব রয়েছে।
গত ২৫ নভেম্বর ওমিক্রন শনাক্তের খবর ছড়িয়ে পড়ার পর তেলবাজারে যে ধস নেমেছিল, চলতি সপ্তাহের শুরুতেই তার প্রায় অর্ধেকটা পুনরুদ্ধার হয়ে যায়। ফাইজারের টিকার বুস্টার ডোজ ওমিক্রনের বিরুদ্ধে সুরক্ষা দিতে পারে, প্রাথমিক গবেষণায় এমন তথ্য সামনে আসার পর আশাবাদী হয়ে উঠছেন ব্যবসায়ীরা।