শিরোনাম
যন্ত্রাংশের অভাবে ইরানের অর্ধেকেরও বেশি যাত্রীবাহী বিমান অকেজো হয়ে পড়ে আছে। দেশটির বিমান সংস্থাগুলোর অ্যাসোসিয়েশনের উপপ্রধান আলী রেজা বারখোর সম্প্রতি এ তথ্য জানিয়েছেন। খবর আরব নিউজের।
তিনি বলেন, বর্তমানে কেবলমাত্র খুচরা যন্ত্রাংশের অভাবে ১৭০টিরও বেশি যাত্রীবাহী বিমান অকেজো হয়ে পড়ে আছে।
ইরানের রাষ্ট্রীয় গণমাধ্যম ইরনাকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে আলী রেজা বারখোর এ কথা জানান।
ইরানের রাষ্ট্রীয় বিমান সংস্থা এয়ার ইরানের মাত্র ৩৯টি বিমান বর্তমানে যাত্রীসেবা দিচ্ছে।
২০১৬ সালে ইরান ১০০টি এয়ারবাস, ৮০টি বোয়িং এবং ৪০টি এটিআর যাত্রীবাহী বিমান কেনা চেষ্টা করলেও ২০১৮ সালে যুক্তরাষ্ট্র দেশটির ওপর নতুন করে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করলে পরে তা আর কেনা সম্ভব হয়নি।
ইরানের সরকারি বিমান সংস্থা ইরান এয়ার তার পুরাতন হয়ে যাওয়া বহর নবায়নের জন্য নতুন বিমান কিনতে চেয়ে ছিল।
দেশটির অধিকাংশ আধুনিক বিমানের দশ শতাংশের বেশি যন্ত্রাংশ যুক্তরাষ্ট্রের তৈরি এবং সেই সূত্রে ইরানের কাছে বিমান বিক্রির জন্য প্রয়োজন মার্কিন অনুমোদনের।
যুক্তরাষ্ট্র সে অনুমোদন রদ করে দিয়েছে। এমন অবস্থায় রাশিয়ার কাছ থেকে যাত্রীবাহী বিমান কিনতে পারে ইরান। কিন্তু রাশিয়ার তৈরি যাত্রীবাহী বিমানেও ১০ শতাংশের বেশি মার্কিন যন্ত্রাংশ রয়েছে।
ইরানের কাছে শখানেক যাত্রীবাহী বিমান বিক্রির সম্ভাবনার কথা মাথায় রেখে রাশিয়া তাদের যাত্রীবাহী বিমানে ব্যবহৃত যুক্তরাষ্ট্রের যন্ত্রাংশের পরিমাণ দশ শতাংশের নিচে নামিয়ে আনার কথা ভাবছে।