শিরোনাম
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার (ডব্লিউএইচও) এক কর্মকর্তা বলেছেন, করোনাভাইরাসের বিদ্যমান ভ্যাকসিন ওমিক্রন ভ্যারিয়েন্টে আক্রান্ত মানুষকে মারাত্মক অসুস্থতা থেকে এখনও রক্ষা করতে পারে। ডব্লিউএইচও কর্মকর্তা ড. মাইক রায়ান বলেছেন, অন্য ভ্যারিয়েন্টের চেয়ে ওমিক্রন ভ্যাকসিনের সুরক্ষা বেশি এড়িয়ে যাচ্ছে এমন কোনও ইঙ্গিত নেই। ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসির প্রতিবেদন থেকে এসব তথ্য জানা গেছে।
দক্ষিণ আফ্রিকায় পরিচালিত প্রথম ল্যাব টেস্টে দেখা গেছে ওমিক্রন ভ্যারিয়েন্ট ফাইজারের টিকার সুরক্ষা আংশিকভাবে এড়াতে পারে। গবেষকরা বলছেন, ভ্যাকসিনের অ্যান্টিবডি কিভাবে নতুন ভ্যারিয়েন্টকে অকার্যকর করবে তার মধ্যে বেশ বড় একটি গ্যাপ রয়েছে।
তবে ডব্লিউএইচও’র জরুরি পরিচালক ড. মাইক রায়ান ফরাসি বার্তা সংস্থা এএফপিকে বলছেন, ‘আমাদের কাছে অতি কার্যকর ভ্যাকসিন রয়েছে যা এখন পর্যন্ত সব ভ্যারিয়েন্টের বিরুদ্ধে কার্যকর প্রমাণিত হয়েছে, বিশেষ করে মারাত্মক অসুস্থতা এবং হাসপাতালে ভর্তির হিসেবে। আর ওমিক্রনের ক্ষেত্রেও এটা হবে না তা ধারণা করার কোনও কারণ নেই।’
ডব্লিউএইচও’র এই কর্মকর্তা বলেন, প্রাথমিক তথ্যে দেখা যাচ্ছে ডেল্টা বা অন্য ভ্যারিয়েন্টের চেয়ে ওমিক্রন মানুষকে বেশি অসুস্থ করছে না। তিনি বলেন, ‘যদি কিছু করে থাকে তাহলে তার গতিপথ কম অসুস্থতার দিকে।’
দক্ষিণ আফ্রিকার নতুন গবেষণাটির এখন পিয়ার রিভিউ হয়নি। এই গবেষণায় দেখা গেছে, করোনার মূল ভ্যারিয়েন্ট থেকে ওমিক্রনের বিরুদ্ধে ফাইজার/বায়োএনটেকের টিকা ৪০ শতাংশ কম কার্যকর। তবে গবেষক দলের নেতৃত্ব দেওয়া প্রফেসর অ্যালেক্স সাইগাল বলেন, ভ্যাকসিনের এন্টিবডি এড়াতে ওমিক্রনের সক্ষমতা ‘অসম্পূর্ণ’।