শিরোনাম
পরিবারের পাঁচজন মৃত সদস্যদের পাশ থেকে অচেতন অবস্থায় দুই বছর বয়সী এক শিশুকে উদ্ধার করেছে পুলিশ। সেখান থেকে পরিবারের চার সদস্যের লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। সঙ্গে উদ্ধার করা হয় নয় মাস বয়সী এক শিশুর মরদেহ। অনাহারে ওই শিশুটির মৃত্যু হয়েছে বলে ধারণা করছে পুলিশ।
ভারতের বেঙ্গালুরুতে এই মর্মান্তিক ঘটনা ঘটে বলে গণমাধ্যমের প্রতিবেদনে জানা গেছে।পুলিশের ধারণা পরিবারের ওই চার সদস্য আত্মহত্যা করেছেন। তবে ময়নাতদন্তের পরই আত্মহত্যার বিষয়টি নিশ্চিত হওয়া যাবে বলে জানিয়েছে পুলিশ। শনিবার লাশগুলো ময়নাতদন্তের জন্য পাঠিয়েছে পুলিশ।
নিহতরা হলেন ভারতী (৫১), তার দুই মেয়ে সিনচানা (৩৪) ও সিন্দুরানী (৩৪) এবং তার ছেলে মধুসাগর (২৫) আর নয় বছর বয়সী এক মেয়ে শিশু। লাশগুলোতে পচন ধরেছিল বলে জানিয়েছে পুলিশ। ধারণা করা হচ্ছে অন্তত পাঁচদিন আগে তারা মারা গেছেন।
ভারতীর লাশ একটি হল ঘর থেকে উদ্ধার করা হয়। তার দুই মেয়ে ও নয় মাস বয়সী শিশুটির লাশ উদ্ধার করা হয় এক তলার একটি কক্ষ থেকে। তার দুই বয়র বয়সী অচেতন মেয়েটিকে উদ্ধার করা হয় মধুসাগরের লাশ যে কক্ষে ছিল সেখান থেকে।
আত্মহত্যার কারণ এখনো জানতে পারেনি পুলিশ। বাড়ি থেকে কোনো সুইসাইড নোটও পাওয়া যায়নি। ভারতীর স্বামী শঙ্কর পাঁচদিন পর বাড়িতে এসে দরজা ভেতর থেকে বন্ধ পেয়ে পুলিশে খবর দেন। পুলিশ এসে দরজা ভেঙে ভেতরে ঢুকে লাশগুলোর খোঁজ পায়। শঙ্কর বর্তমানে কথা বলার অবস্থায় নেই। তার অবস্থা একটু স্থিতিশীল হলে এ ব্যাপারে তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে বলে জানিয়েছে পুলিশ। শিশু দুটি শঙ্করের নাতনি বলে জানা গেছে।
পারিবারিক কলহের জেরে এই আত্মহত্যার ঘটনা ঘটে থাকতে পারে বলে জানিয়েছে পুলিশ। শঙ্করের এক মেয়ে শ্বশুরবাড়ি ছেড়ে বাবার কাছে চলে এসেছিলেন।মেয়ের এই সিদ্ধান্তে মোটেও খুশি ছিলেন না শঙ্কর। না নিয়ে প্রায়ই পরিবারের অন্যদের সঙ্গে তার মনোমালিন্য হতো। গত রোববার প্রতিবেশীরা ওই বাড়িতে কথা কাটাকাটি শুনতে পান। এরপর শঙ্কর রাগ করে বাড়ি থেকে চলে যান। তিনি বাড়ির কারো ফোনও ধরেননি বলে জানিয়েছেন।এর পাঁচদিন পর ফিরে এসে এই মর্মান্তিক ঘটনা মুখোমুখি হন।
এদিকে অসুস্থ শিশুটিকে হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে বলে জানিয়েছে পুলিশ।