ইউক্রেনে রাশিয়া হামলা চালালে কী করবেন বাইডেন?

ফানাম নিউজ
  ০৫ ডিসেম্বর ২০২১, ১৮:০৬

পূর্ব ইউরোপের দেশ ইউক্রেনের সীমান্তে রুশ সেনা সমাবেশকে কেন্দ্র করে সম্ভাব্য আগ্রাসনের শঙ্কা তৈরি হয়েছে। ফলে উত্তেজনা বেড়েছে দেশ দুটির মধ্যে।  

ইউক্রেনের মিত্র দেশ হিসেবে যুক্তরাষ্ট্র রাশিয়াকে এ পদক্ষেপের পরিণতি সম্পর্কে হুশিয়ারি দিয়ে আসছে। 

ইতোমধ্যে মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী অর্থনৈতিক নিষেধাজ্ঞার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন। পাশাপাশি পুতিনের ঘনিষ্ঠজনদেরকেও ছাড় না দেওয়ার কথা শোনা যাচ্ছে।

বাইডেন প্রশাসনের কর্মকর্তাদের তথ্য অনুযায়ী, রাশিয়া ইউক্রেনের সীমান্তের কাছে ৭০ হাজারের মতো সেনা জড়ো করেছে।  তাদের ধারণা, রাশিয়া আগামী বছরের শুরুতে ইউক্রেনে আগ্রাসন চালাতে পারে।

এমন পরিস্থিতিতে কয়েকদিন ধরে রাশিয়ার বিরুদ্ধে হুমকি দিয়ে আসলেও সুস্পষ্ট পরিকল্পনা কেমন তা এখনও প্রকাশ্যে ঘোষণা করেনি যুক্তরাষ্ট্র।

মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিনকেন বলেছেন, রাশিয়া যেভাবে পূর্ব ইউক্রেনের সীমান্তে সেনা জড়ো করেছে, তা যে কোনোও সময় ভয়াবহ চেহারা নিতে পারে। পূর্ব ইউক্রেনের কয়েকটি এলাকায় ছোট ছোট সংঘর্ষ হয়েছে বলে জানা গেছে। এই পরিস্থিতিতে রাশিয়া যদি উত্তেজনা বাড়ায়, তা হলে যুক্তরাষ্ট্র রাশিয়ার বিরুদ্ধে কঠোরতম অর্থনৈতিক নিষেধাজ্ঞা আরোপ করবে। যা অতীতে মস্কোর বিরুদ্ধে এমন নিষেধাজ্ঞা আরোপ থেকে বিরত ছিলাম আমরা।

ইউক্রেন ইস্যুতে বরাবরের মতো গত শুক্রবার রাশিয়াকে নিয়ে ব্যাপক ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া দেখিয়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনও। মস্কোর বিরুদ্ধে যে পদক্ষেপ নেওয়া হবে তা দেশটির প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের জন্য কষ্টদায়ক হবে বলে মন্তব্য করেন বাইডেন।

এদিকে ইউক্রেন নিয়ে উত্তেজনার মধ্যে কথা বলবেন রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন ও যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন।

তুরস্কের সংবাদমাধ্যম ডেইলি সাবাহ জানিয়েছে, মঙ্গলবার জো বাইডেন ও ভ্লাদিমির পুতিন ভিডিও কলে কথা বলতে যাচ্ছেন।

ক্রেমলিনের মুখপাত্র দিমিত্রি পেসকভ শনিবার রাশিয়ার রাষ্ট্রীয় সংবাদসংস্থা আরআইএ নভোসতিকে বলেন, দুই নেতার মধ্যে ভিডিও কল অনুষ্ঠিত হবে সন্ধ্যায়। 

পেসকভ বলেন, আলাপ কতক্ষণ চলবে তা ‘দুই প্রেসিডেন্ট সিদ্ধান্ত নেবেন’।

যদিও এখন পর্যন্ত হোয়াইট হাউস থেকে এ বিষয়ে কোনো বক্তব্য পাওয়া যায়নি।