শিরোনাম
আবারও ক্ষমতায় আসতে পারেন কানাডার প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডো, এমন আভাস মিলছে। যদিও ফলাফল আসতে এখনো দেরি। তবে সোমবার অনুষ্ঠিত ৪৪তম সাধারণ নির্বাচনে তুমুল লড়াইয়ের কারণে সংসদে সংখ্যাগরিষ্ঠ আসন হয়তো পাবে না তার দল। খবর রয়টার্সের।
সংখ্যাগরিষ্ঠতা না থাকায় দেশ পরিচালনা করতে গিয়ে গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত গ্রহণের সময় অন্যান্য রাজনৈতিক দলের ওপর নির্ভর করতে হয় জাস্টিন ট্রুডোকে। এবার করোনা মহামারির মধ্যে সংসদে সংখ্যাগরিষ্ঠতা নিশ্চিত করার লক্ষ্যে দুই বছর আগে নির্বাচন দিয়েছেন ট্রুডো।
কিন্তু কানাডার সাধারণ মানুষ খুব একটা সন্তুষ্ট নয় বেশকিছু ইস্যুতে। ফলে ৪৯ বছর বয়সী ট্রুডো সঙ্কট আরও ঘনীভূত হওয়ার শঙ্কা করছিলেন। ট্রুডোর লিবারেল পার্টির সদস্যরা এখন মনে করছেন যে, হাউজ অব কমন্সে ৩৩৮টি আসনের বিপরীতে সংখ্যাগরিষ্ঠতা পাওয়া কঠিন হয়ে দাঁড়িয়েছে।
আগস্টে পরিচালিত এক জরিপের ফলাফলে ট্রুডো এগিয়ে ছিলেন। জনমত জরিপে ক্ষমতাসীন লিবারেল পার্টি এগিয়ে থাকলেও ব্যবধান খুব সামান্য। ফলে বিরোধী নেতা এরিন ও’টুলের কনজারভেটিভ পার্টির জয়ের সম্ভাবনাও দেখেন কেউ কেউ।
আঞ্চলিক ফলাফলের প্রাথমিকভাবে পাওয়া তথ্যে চারটি রাজ্যের ৩২টি আসনের মধ্যে ২৩টিতে এগিয়ে রয়েছে লিবারেলরা। এর আগে যেখানে ২৭টি আসন পায় ট্রুডোর দল। অন্যদিকে, বিরোধী নেতা এরিন ও’টুলের রক্ষণশীল দল নয়টিতে এগিয়ে রয়েছে।
সংসদের ৩৩৮টি আসনে ভোটার দুই কোটি ৭০ লাখ। এককভাবে সরকার গঠনে যেকোনো দলকে কমপক্ষে ১৭০টি আসনে জয় পেতে হবে।
সংখ্যালঘু সরকারের প্রধানমন্ত্রী ট্রুডো এবার একক সরকার গঠন করতে পারবেন কি-না, নাকি আসন হারিয়ে সংসদে বিরোধীদের শক্তিশালী হয়ে ওঠার সুযোগ দেবেন, এখন সেই শঙ্কা তৈরি হয়েছে।
লিবারেল পার্টির সাবেক উপদেষ্টা স্কট রিড বলেছেন, আগাম নির্বাচনের সিদ্ধান্ত খুব দ্রুত হয়ে গেছে, যার ফলে কানাডাজুড়ে আঞ্চলিক প্রতিযোগিতার ফল ভিন্ন হতে পারে।
তিনি আরও বলেন, আটলান্টিক কানাডার ফলাফলই ঘুরিয়ে দিতে পারে পুরো নির্বাচনের ফলাফলের মোড়, যা লিবারেলদের জন্য উদ্বেগের বিষয়।
স্থানীয় সময় মঙ্গলবার রাত ৯টা ৩০ মিনিটে ভোটগ্রহণ শেষ হয়েছে। সবচেয়ে বেশি আসন রয়েছে অন্টেরিও ও কিউবেকে, ১৯৯টি, যা পুরো দেশের অর্ধেকেরও বেশি।
মেইল ভোট গণনার কারণে হয়তো ফলাফল পেতে একটু বেশি সময় লাগবে। এখনো মেইলের মাধ্যমে দেওয়া আট লাখের মতো ভোট গণনা শুরু হয়নি বলে জানা গেছে।
এবারের ভোটে করোনা মহামারি ছাড়াও দেশের অর্থনীতি, আবাসন, জলবায়ু সঙ্কট, স্বাস্থ্যসেবার মতো গুরুত্বপূর্ণ বিষয়গুলোও ভোটারদের মনে দাগ কেটেছে। তবে ট্রুডো আবার ক্ষমতায় ফিরলে কতটুকু স্বাভাবিক পরিস্থিতি তৈরি করতে পারবেন সে শঙ্কা থেকেই যাচ্ছে।