শিরোনাম
ভারতীয় জনতা পার্টির (বিজেপি) পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য সভাপতির পদ থেকে দিলীপ ঘোষকে সরিয়ে দেওয়া হয়েছে। তার জায়গায় নতুন সভাপতি মনোনীত হয়েছেন সুকান্ত মজুমদার। সুকান্ত বালুরঘাটের বিজেপির সংসদ সদস্য।
সোমবার (২০ সেপ্টেম্বর) রাজ্য বিজেপির এই সাংগঠনিক পদে নেতৃত্ব বদলের ঘোষণা দেন দলের সর্বভারতীয় সভাপতি জেপি নাড্ডা। অন্যদিকে, দিলীপকে দলের সর্বভারতীয় সহ-সভাপতির পদ দেওয়া হয়েছে।
আনন্দবাজার পত্রিকার এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, রাজ্য সভাপতি হিসেবে দিলীপের মেয়াদ ২০২৩ সালের জানুয়ারি মাসে শেষ হওয়ার কথা ছিল। এর মাঝে তার জায়গায় ওই পদে কাকে আনা হবে তা নিয়ে দলের মধ্যে আলোচনা চলছিল। তবে ওই সময়সীমার এতটা আগেই তাকে সরিয়ে দেওয়া হবে তার আঁচ করতে পারেনি রাজ্য বিজেপি।
প্রতিবেদনে আরও বলা হয়েছে, সুকান্ত বিজেপির রাজ্য সভাপতি হিসেবে প্রাথমিকভাবে মনোনীত হয়েছেন। এর পর তাকে সাংগঠনিক প্রক্রিয়ায় নির্বাচিত হতে হবে। এই একই প্রক্রিয়া দিলীপের ক্ষেত্রেও অনুসরণ করা হয়েছিল। এছাড়া সংগঠনের নিয়ম অনুসারে কেউ দুইবারের বেশি বিজেপির রাজ্য সভাপতি পদে থাকতে পারেন না। এবার ছিল দিলীপের দ্বিতীয় দফা।
ঘটনাচক্রে উত্তরবঙ্গ থেকে এই প্রথম কেউ বিজেপির রাজ্য সভাপতি হলেন। এর আগে দলের রাজ্য সভাপতি হয়েছিলেন তপন শিকদার। তিনি আদতে উত্তরবঙ্গের বাসিন্দা হলেও, থাকতেন কলকাতায়। তার নির্বাচনী কেন্দ্র ছিল দমদম। সেই হিসেবে উত্তরবঙ্গের নেতা হিসেবে দলের রাজ্য সভাপতি পদে সুকান্তই প্রথম।
গত বিধানসভা ভোটে দক্ষিণবঙ্গে বিজেপি মুখ থুবড়ে পড়লেও উত্তরবঙ্গে তুলনামূলক ভালো ফল করেছিল। এই কারণে উত্তরবঙ্গ থেকে দলের রাজ্য সভাপতি মনোনীত করার দাবি ছিল গেরুয়া শিবিরের অন্দরেও। আবার রাজনৈতিক মহলের একটি অংশের ধারণা, সুকান্ত যে বিজেপির পরবর্তী রাজ্য সভাপতি হতে পারেন তা আগে থেকে কিছুটা আন্দাজ করা গিয়েছিল। সম্প্রতি দিল্লিতে বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি কাকে দলের পরবর্তী রাজ্য সভাপতি করা যায় তা বাংলার নেতাদের কাছে জানতে চেয়েছিলেন। সে সময় সুকান্তের কথা উঠে আসে। এছাড়া দিলীপের পর শিক্ষাগত যোগ্যতায় এগিয়ে আছেন এমন কাউকে রাজ্য সভাপতি করার জোরালো দাবিও ছিল। সব মিলিয়ে সুকান্তেই সিলমোহর দিলেন বিজেপির সর্বভারতীয় নেতৃত্ব।