শিরোনাম
সংযুক্ত আরব আমিরাত সফরে যাওয়ার পরিকল্পনা করছেন বলে জানিয়েছেন তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়্যিপ এরদোগান।
তুর্কমেনিস্তানের রাজধানীতে অনুষ্ঠিত ১৫তম ইকোনমিক কোঅপারেশন অর্গানিজেশনের সম্মেলন থেকে ফেরার সময় তুরস্কের সংবাদমাধ্যমকে এরদোগান এ কথা জানান। খবর ডেইলি সাবাহর।
এরদোগান বলেন, আমি আগামী ফেব্রুয়ারিতে সংযুক্ত আরব আমিরাতে যাওয়ার পরিকল্পনা করছি। আমি যাওয়ার আগে পররাষ্ট্রমন্ত্রী ও জাতীয় গোয়েন্দা সংস্থার (এমটিটি) প্রধান আমিরাত সফর করবেন। এ সফরের জন্য প্রস্তুতি থাকবে। এর পর ফেব্রুয়ারিতে আমি আশা করছি একটি বিশাল প্রতিনিধি দল নিয়ে আমিরাতে যাব এবং আমরা কিছু শক্তিশালী পদক্ষেপ নেব। তারা ১০ বিলিয়ন ডলার বিনিয়োগের একটি পরিকল্পনা উপস্থাপন করেছে। এই বিনিয়োগ পরিকল্পনা বাস্তবায়িত করে আমরা একটি ভিন্ন ভবিষ্যত গড়ে তুলব।
সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে এরদোগান আরও বলেন, সংযুক্ত আরব আমিরাতের সঙ্গে নেওয়া পদক্ষেপ মধ্যপ্রাচ্যের অন্য শক্তিগুলোর সঙ্গেও নেওয়া হবে। বিশেষ করে মিসর ও ইসরাইলের সঙ্গে। আরব আমিরাত ও আমাদের মধ্যে যেসব পদক্ষেপ নেওয়া হবে ঠিক একই পদক্ষেপ অন্যদের সঙ্গেও নেওয়া হবে।
গত সপ্তাহে সংযুক্ত আরব আমিরাতের যুবরাজ মুহাম্মদ বিন জায়েদ (এমবিজেড) তুরস্ক সফর করেছেন। ২০১২ সালের পর আমিরাতের ডি ফ্যাক্টো নেতা ও দেশটির পররাষ্ট্র নীতির নির্ধারক এমবিজেডের এটি ছিল প্রথম আঙ্কারা সফর। দুই দেশই যে তাদের সম্পর্ক পুনরুদ্ধারের পাশাপাশি অর্থনৈতিক সহযোগিতা বাড়াতে আগ্রহী সেটি এ সফরের মাধ্যমে স্পষ্ট হয়েছে।
তুরস্ক এ সফরকে ‘নতুন যুগের শুরু’ হিসেবে দেখছে।
অন্যদিকে এ সফর শুধু আরব আমিরাত নয় আরব দেশগুলোর সঙ্গে তুরস্কের সম্পর্ককে গতি দেবে বলে ধারণা আবুধাবির সংবাদমাধ্যমগুলোর।
লিবিয়ায় আঙ্কারার স্বার্থ ক্ষুণ্ন করা এবং ২০১৬ সালে ব্যর্থ সেনা অভ্যুত্থানে অর্থায়নের জন্য সংযুক্ত আরব আমিরাতকে দায়ী করে তুরস্ক। এর পর থেকে দুই দেশের সম্পর্কে চিড় ধরে। এ ছাড়া সিরিয়া ও কাতার নিয়ে দেশ দুটির মধ্যে মতপার্থক্য বিদ্যমান।
সম্প্রতি তুরস্কের প্রতিরক্ষা খাত যেভাবে এগিয়ে যাচ্ছে তা নজর কেড়েছে আমিরাতের। বিশেষ করে দেশীয় প্রযুক্তিতে তুরস্ক ড্রোন, ক্ষেপণাস্ত্র প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা, যুদ্ধাজাহাজ ও মনুষ্যবিহীন সামরিক যান তৈরি করেছে। দেশটির তৈরি করা বিভিন্ন অস্ত্র ইতোমধ্যে সাফল্য দেখিয়েছে। এসব কারণে আরব আমিরাত চাইছে তুরস্কের সঙ্গে দূরত্ব কমিয়ে আনতে। এমন পরিস্থিতিতে এমবিজেডের এ সফরকে ঘিরে আবারও সম্পর্কোন্নয়নের স্বপ্ন দেখছে আঙ্কারা ও আবুধাবি।