শিরোনাম
তিনদিনে ৯০ লাখ ডোজ ভ্যাকসিন দেওয়ার কর্মসূচি শুরু করেছে ফিলিপাইন। ভ্যাকসিনের দুই ডোজ নিয়েছেন এমন ভ্রমণকারীদের জন্যও সাময়িক সময়ের জন্য দেশটিতে প্রবেশ নিষিদ্ধ করা হয়েছে। করোনার অতি সংক্রামক ওমিক্রন ভ্যারিয়েন্ট শনাক্ত হওয়ার পরই এমন পদক্ষেপ নিয়েছে কর্তৃপক্ষ। এর মধ্যেই করোনার বিরুদ্ধে লড়াইয়ে ভ্যাকসিনের বড় ধরনের কর্মসূচি শুরু করলো দেশটি।
এর আগে দেড় কোটি ভ্যাকসিনের ডোজ দেওয়ার পরিকল্পনা থাকলেও তা কমিয়ে আনা হয়েছে। তবে ভ্যাকসিন নিয়ে লোকজনের মধ্যে দ্বিধা দ্বন্দ্ব থাকার পরেও লাখ লাখ মানুষকে তিন দিনেই ভ্যাকসিনের আওতায় আনার এটি একটি বড় রেকর্ড হবে বলা যায়। কিন্তু বিস্তৃত দ্বীপপুঞ্জের লোকজনের কাছাকাছি পৌঁছানোর ক্ষেত্রে বেশ কিছু বাধা রয়েই গেছে।
নভেম্বরে প্রতিদিন যে পরিমান ভ্যাকসিন দেওয়া হয়েছে এবার তিনদিনেই চার গুণ ডোজ দেওয়ার পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে। এক কর্মকর্তা বলেন, ওমিক্রন ভ্যারিয়েন্ট ছড়িয়ে পড়ার খবরের পর এই ভ্যাকসিন কর্মসূচি আরও বেশি গুরুত্ব বহন করছে।
ওমিক্রনের প্রভাবের বিষয়ে আগে থেকেই সতর্ক থাকা উত্তম বলে জানিয়েছেন দেশটির ভ্যাকসিন বিষয়ক প্রধান শার্লিটো গালভেজ।
সর্বশেষ শনাক্ত হওয়া করোনার এই নতুন ধরন নিয়ে ইতোমধ্যেই বিভিন্ন দেশের মধ্যে উদ্বেগ ছড়িয়ে পড়েছে। ওমিক্রন ধরনকে উদ্বেগের কারণ বলে বর্ণনা করেছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও)। ফলে ইতোমধ্যেই বিভিন্ন দেশে ভ্রমণের ক্ষেত্রে বিধিনিষেধ বা নিষেধাজ্ঞা জারি করা হচ্ছে।
এদিকে ওমিক্রন ধরন সারা বিশ্বে ছড়িয়ে পড়তে পারে এবং এতে সংক্রমণ বেড়ে যাওয়ার ‘খুব উচ্চ’ ঝুঁকি রয়েছে বলে সতর্ক করেছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা। একই সঙ্গে কিছু অঞ্চলে এটি ‘মারাত্মক পরিণতি’ ডেকে আনতে পারে বলে হুঁশিয়ারি দেওয়া হয়েছে।
গত সপ্তাহে এক ঘোষণায় ম্যানিলা জানায়, ভ্যাকসিনের দুই ডোজ নেওয়া বেশিরভাগ পর্যটককে আগামী ১ ডিসেম্বর থেকে দেশটিতে প্রবেশ করতে দেওয়া হবে। কিন্তু ফিলিপাইন সরকারের কোভিড-১৯ টাস্ক ফোর্স এই পরিকল্পনা থেকে সরে এসেছে। ইউরোপের সাতটি দেশ এবং দক্ষিণ আফ্রিকার বেশ কিছু দেশের ওপর অস্থায়ী নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে।
করোনা মহামারিতে এশিয়ার দেশগুলোর মধ্যে ফিলিপাইনকে সবচেয়ে বেশি বিপর্যয়ের মুখোমুখি হতে হয়েছে। দেশটির তিন কোটি ৫৬ লাখ মানুষ ভ্যাকসিনের দুই ডোজ নিয়েছেন।
২০২১ সালের শেষ নাগাদ ৫ কোটি ৪০ লাখ মানুষকে ভ্যাকসিনের আওতায় আনার পরিকল্পনা রয়েছে দেশটির। অপরদিকে আগামী বছরের মার্চের মধ্যে ৭ কোটি ৭০ লাখ মানুষকে ভ্যাকসিনের আওতায় আনতে চাচ্ছে ফিলিপাইন।