শিরোনাম
প্রাণঘাতী করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে সারাবিশ্বে গত ২৪ ঘণ্টায় আরও চার হাজার ২৯৪ জনের মৃত্যু হয়েছে। একই সময়ে বিশ্বে নতুন করে সংক্রমিত হয়েছেন তিন লাখ ৮৯ হাজার ১১৪ জন। আর সুস্থ হয়েছেন তিন লাখ সাত হাজার ৪৭ জন। একদিনে সর্বোচ্চ সংখ্যক মৃত্যু হয়েছে রাশিয়ায়, এক হাজার ২২৪ জনের। আর জার্মানিতে সর্বোচ্চ ৩৮ হাজার ৪৪৪ জন সংক্রমিত হয়েছেন।
সোমবার (২৯ নভেম্বর) সকাল সাড়ে ৯টায় আন্তর্জাতিক পরিসংখ্যানভিত্তিক ওয়েবসাইট ওয়ার্ল্ডোমিটার থেকে এসব তথ্য জানা গেছে।
সর্বশেষ পরিসংখ্যান অনুযায়ী, বিশ্বে এ পর্যন্ত করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৫২ লাখ ১৭ হাজার ৮৬ জনে। মহামারির শুরু থেকে এ পর্যন্ত ভাইরাসটিতে সংক্রমিত হয়েছেন ২৬ কোটি ১৭ লাখ ৬০ হাজার ৯৯৬ জন। আর সুস্থ হয়েছেন ২৩ কোটি ৬৩ লাখ ৮৪ হাজার ৪১৫ জন।
করোনায় এখন পর্যন্ত সবচেয়ে বেশি মৃত্যু ও সংক্রমিত হয়েছে যুক্তরাষ্ট্রে। দেশটিতে মোট সংক্রমিত হয়েছেন চার কোটি ৯০ লাখ ৯৯ হাজার ৫৯০ জন। তাদের মধ্যে মারা গেছেন সাত লাখ ৯৯ হাজার ৪১৪ জন। এছাড়া সুস্থ হয়ে উঠেছেন তিন কোটি ৮৮ লাখ ৮০ হাজার ৮১ জন। দেশটিতে ২৪ ঘণ্টায় মারা গেছেন ১০২ জন।
ভারতে এ পর্যন্ত করোনায় সংক্রমিত হয়েছেন তিন কোটি ৪৫ লাখ ৭৮ হাজার ৭৪৯ জন। এ পর্যন্ত মৃত্যু হয়েছে চার লাখ ৬৮ হাজার ৫৭৪ জনের। করোনা থেকে সেরে উঠেছেন তিন কোটি ৩৯ লাখ ৯৮ হাজার ২৭৮ জন।
করোনায় যুক্তরাষ্ট্রের পর সবচেয়ে বেশি মৃত্যু হয়েছে ল্যাটিন আমেরিকার দেশ ব্রাজিলে। দেশটিতে এ পর্যন্ত মৃত্যু হয়েছে ছয় লাখ ১৪ হাজার ৩১৪ জনের। মোট সংক্রমিত হয়েছে দুই কোটি ২০ লাখ ৮০ হাজার ৯০৬ জন। দেশটিতে করোনা থেকে সুস্থ হয়েছেন দুই কোটি ১২ লাখ ৯৩ হাজার ৩১৪ জন।
তালিকায় এরপরের স্থানগুলোতে রয়েছে যুক্তরাজ্য, রাশিয়া, তুরস্ক, ফ্রান্স, ইরান, জার্মানি, আর্জেন্টিনা, স্পেন, কলম্বিয়া ও ইতালি।
তালিকায় বাংলাদেশের অবস্থান এখন ৩১ নম্বরে। দেশে এখন পর্যন্ত করোনা রোগী শনাক্ত হয়েছেন ১৫ লাখ ৭৫ হাজার ৭৮৪ জন। তাদের মধ্যে মারা গেছেন ২৭ হাজার ৯৭৮ জন। দেশে এ পর্যন্ত করোনা আক্রান্ত হওয়ার পর সেরে উঠেছেন ১৫ লাখ ৪০ হাজার ৩১৭ জন।
২০১৯ সালের ডিসেম্বরে চীনের উহান প্রদেশের হুবেই শহরে প্রথম করোনার অস্তিত্ব শনাক্ত হয়। কয়েক মাসের মধ্যেই ভাইরাসটি বিশ্বের অধিকাংশ দেশে ছড়িয়ে পড়ে। গত বছরের ১১ মার্চ বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা করোনাকে ‘বৈশ্বিক মহামারি’ হিসেবে ঘোষণা করে।