শিরোনাম
বিজেপি ছেড়ে তৃণমূল কংগ্রেসে যোগ দেওয়া বাবুল সুপ্রিয়কে নিয়ে কটাক্ষ করেছেন পশ্চিমবঙ্গ বিজেপির কেন্দ্রীয় কমিটির সম্পাদক অনুপম হাজরা। প্রখ্যাত সংগীতশিল্পী ও বিজেপির সাবেক কেন্দ্রীয় মন্ত্রী বাবুল সুপ্রিয় তৃণমূল কংগ্রেস থেকে এখন পর্যন্ত কোনো পদ না পাওয়ায় উপহাস করেন তিনি। বিদ্রূপ করে অনুপম বলেছেন, এবার হয়তো বাবুল সুপ্রিয়কে প্রধানমন্ত্রী প্রার্থী করবে তৃণমূল।
গত ১৮ সেপ্টেম্বর বাবুল সুপ্রিয় বিজেপি ছেড়ে যোগ দেন তৃণমূল কংগ্রেসে। তখন থেকে তাঁকে নিয়ে পশ্চিমবঙ্গের রাজনৈতিক ময়দানে বিভিন্ন গুঞ্জন চলছে। কখনো বলা হচ্ছে, বাবুল সুপ্রিয় তৃণমূলে যোগ দিয়ে এবার রাজ্যের মন্ত্রী হচ্ছেন। আবার কখনো বলা হচ্ছে, তাঁকে বিধায়ক করা হচ্ছে; আবার কখনো শোনা যাচ্ছে, রাজ্যসভার সাংসদ বা এমপি করা হচ্ছে তাঁকে। সর্বশেষ গুঞ্জন চলছিল আসন্ন কলকাতা পৌর করপোরেশনের নির্বাচনে বাবুল সুপ্রিয়কে তৃণমূল কংগ্রেস থেকে মেয়র প্রার্থী করা হবে। কিন্তু শেষ পর্যন্ত কোনো গুঞ্জনই বাস্তব হয়নি।
বিজেপি ছাড়ার সময় সুপ্রিয় বলেছিলেন, ‘আমি প্লেয়িং ইলেভেনেই থাকতে চাই। খেলার সুযোগ না পেয়ে বিজেপি ছেড়েছি।’ আর এবার এ কথার সূত্র ধরেই তাঁকে নিয়ে কটাক্ষ করলেন বিজেপির নেতা অনুপম হাজরা। গতকাল শনিবার বাবুল সুপ্রিয়কে বিদ্রূপ করে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে অনুপম লিখেছেন, ‘“প্লেয়িং ১১”তে খেলতে চাওয়া ছেলেটা আজও মাঠের বাইরে। ভাবলাম, তাকে রাজ্যসভায় পাঠাবে। তা হলো না। ভাবলাম, রাজ্যের উপনির্বাচনে টিকিট দিয়ে মন্ত্রী বানাবে। তা-ও হলো না। পেল না টিকিট। এরপরে ভাবলাম, তাহলে কলকাতা করপোরেশনের নির্বাচনে টিকিট দিয়ে তাকে কলকাতার মেয়র বানাবে। সেটাও করল না তৃণমূল। তার মানে, নিশ্চয়ই এক্কেবারে প্রধানমন্ত্রী ক্যান্ডিডেট।’
বিধানসভার নির্বাচনে হারের পর বিজেপির কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভা থেকে বাদ পড়ে যান বাবুল সুপ্রিয়। এরপরে তৃণমূল কংগ্রেসের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক সাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের হাত ধরে ১৮ সেপ্টেম্বর যোগ দেন তৃণমূলে। তখন থেকে রাজ্যজুড়ে জোর গুঞ্জন ছিল, বাবুল সুপ্রিয়কে তৃণমূল কংগ্রেস হয় রাজ্যসভার সাংসদ করবে, নয়তো রাজ্যের মন্ত্রিসভায় সদস্য করবে। তবে এখনো তৃণমূলে কোনো পদ পাননি তিনি। ইতিমধ্যে বিধানসভার উপনির্বাচন এবং রাজ্যসভার দুটি শূন্য পদের নির্বাচনও হয়ে গেছে। সেখানেও ঠাঁই পাননি বাবুল সুপ্রিয়। রাজ্যসভার দুটি শূন্য পদের একটি পদে আসামের সদ্য তৃণমূলে যোগ দেওয়া সাবেক সাংসদ সুস্মিতা দেব এবং অন্যটি গোয়ার সাবেক মুখ্যমন্ত্রী লুইজিনহো ফেলেইরোকে মনোনয়ন দিয়ে জিতিয়ে আনেন মমতা। এ ছাড়া রাজ্যের ৪টি বিধানসভার শূন্য পদের উপনির্বাচনেও তাঁকে প্রার্থী করেনি তৃণমূল কংগ্রেস।