শিরোনাম
ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী বহুল আলোচিত নয়দা আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেছেন গত মঙ্গলবার (২৫ নভেম্বর)। উত্তর প্রদেশের জেভারে নির্মিতব্য এই স্থাপনা এশিয়ার মধ্যে সবচেয়ে বড় বিমানবন্দর হতে চলেছে বলে দাবি করা হচ্ছে। প্রায় ১৩শ হেক্টর জায়গা নিয়ে তৈরি হচ্ছে নয়দা বিমানবন্দরটি। এর প্রথম ধাপের কাজ শেষ হবে ২০২৪ সালে এবং পুরোপুরি কাজ শেষ হলে প্রতিবছর ১ কোটি ২০ লাখ যাত্রী পরিবহন করবে বলে জানানো হয়েছে।
বিশালাকার এই বিমানবন্দর নিয়ে সামাজিক যোগাযোগামাধ্যেমে বেশ কয়েকটি প্রচারণামূলক ভিডিও ছাড়া হয়েছে। বিমানবন্দরটি কেমন হবে তার প্রাথমিক ধারণা পাওয়া যাচ্ছে এসব ভিডিওতে। ভারতের সাধারণ নাগরিকদের পাশাপাশি অনেক নেতা, মন্ত্রীরাও শেয়ার করছেন সেগুলো।
তেমন একটি ভিডিও শেয়ার করা হয়েছিল ভারত সরকারের মাইগভ প্ল্যাটফর্মের অফিসিয়াল হ্যান্ডেলে, পরে অবশ্য সেটি ডিলিট করে দেওয়া হয়। তবে এরই মধ্যে ভাইরাল হয়ে গেছে সেই ভিডিওর স্ক্রিনশট। কারণ ভিডিওটির দ্বিতীয় সেকেন্ডে যেটিকে নয়দা বিমানবন্দরের সম্ভাব্য রূপ বলে পরিচয় করিয়ে দেওয়া হয়েছে, সেটি মূলত চীনের একটি বিমানবন্দর।
ফ্যাক্ট চেকিংয়ে দেখা গেছে, ভারত সরকার যেটিকে নয়দা আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর হিসেবে তুলে ধরেছে, সেটি ছিল চীনের দাক্সিং আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর। তারামাছের মতো দেখতে চীনা বিমানবন্দরটির নকশা করেছিলেন ইরাকি স্থপতি জাহা হাদিদ। বেইজিংয়ে অবস্থিত দাক্সিং বিমানবন্দর চালু হয়েছে ২০১৯ সালের সেপ্টেম্বর মাসে। গুগলে খুঁজলে সেটি নিয়ে একাধিক প্রতিবেদনও পাওয়া যাচ্ছে।
চীনের সঙ্গে ভারতের সাম্প্রতিক সম্পর্কের টানাপোড়েন কারও অজানা নয়। ভারতীয় গণমাধ্যমগুলোতে নিয়মিতই চীনকে আক্রমণ করে খবর প্রকাশ করতে দেখা যায়। অথচ নিজেদের উন্নয়ন বোঝাতে দেশটি সেই চীনেরই একটি বিমানবন্দরের চিত্র ব্যবহার করেছে। এ নিয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে চলছে ব্যাপক আলোচনা-সমালোচনা।
অবশ্য উত্তর প্রদেশে উন্নয়নের ভুল চিত্র উপস্থাপন একেবারে নতুন কিছু নয়। এর আগে রাজ্যটিতে উন্নয়ন দেখাতে গণমাধ্যমে প্রকাশিত বিজ্ঞাপনে কলকাতার একটি ফ্লাইওভারের ছবি ব্যবহার করা হয়েছিল। এ ঘটনায় বিজেপির বিরুদ্ধে ছবি চুরির অভিযোগ তুলেছিল মমতা ব্যানার্জীর তৃণমূল কংগ্রেস।
সূত্র: ইন্ডিয়া ডটকম