শিরোনাম
আজকাল থিমপার্কগুলোতে বিভিন্ন জীবজন্তুর প্রমাণ সাইজের ভাস্কর্যক রাখা হয়। দর্শনার্থীরা মহা আনন্দে সেইসব ভাস্কর্যের পাশে দাঁড়িয়ে ছবি তোলেন। ঠিক তেমনই প্রমাণসাইজের একটি কুমিরের ‘ভাস্কর্যের’ পাশে ছবি তুলতে গিয়ে নিজের জীবনটাই খোয়াতে বসেছিলেন এই ব্যক্তি।
ব্রিটিশ গণমাধ্যম মিরর এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ফিলিপাইনের একটি পার্কে নেহেমিয়াস চিপাদা নামে এক ব্যক্তি পুলে চুপচাপ থাকা একটি কুমিরের সঙ্গে ছবি তুলতে যান। হঠাৎ কুমিরটি তার হাত কামড়ে ধরে পানির দিকে টেনে দিতে থাকে।
আসলে তিনি যাকে কুমিরের প্রমাণ সাইজের ভাস্কর্য মনে করেছিলেন, সেটি ছিল ১২ ফুট লম্বা জ্যান্ত এক কুমির। তবে সৌভাগ্যক্রমে তিনি কুমিরের মুখ থেকে নিজেকে ছড়িয়ে নিয়ে সক্ষম হন।
ফিলিপাইনের কাগায়ান ডি ওরো শহরের অমায়া ভিউ বিনোদন পার্কে গত ১০ নভেম্বর এই ঘটনা ঘটে বলে মিররের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে।
সেসময় পার্কে থাকা এক দর্শনার্থী তার মোবাইলের ক্যামেরায় ওই ঘটনার ভিডিও ধারণ করেন। ভিডিওতে নেহেমিয়াস চিপাদাকে কুমিরের কবল থেকে পালিয়ে মাটিতে শুয়ে থাকতে দেখা গেছে। এ সময় তার বাম হাত থেকে রক্ত ঝরছিল।
চিপাদা উত্তর মিন্দানাও মেডিকেল সেন্টারে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। তিনি সুস্থ হয়ে উঠছেন বলে চিকিৎসকরা জানিয়েছেন।
এদিকে, এই ঘটনার জন্য পার্ক কর্তৃপক্ষকে দুষছেন চিপাদার পরিবার। তাদের দাবি, কুমিরের ওই পুলে কোনো সর্তক চিহ্ন ছিল না। দর্শনার্থীদের বোঝার কোনো উপায় ছিল না যে সেখানে জীবন্ত কুমির আছে।
তবে পার্ক কর্তৃপক্ষ এই অভিযোগ অস্বীকার করে বলেছেন, ওই পুরো এলাকায় সংরক্ষিত সেটা উল্লেখ করা আছে। অবশ্য চিপাদার চিকিৎসার ব্যয় বহন করতে রাজি হয়েছে পার্ক কর্তৃপক্ষ।