শিরোনাম
লিবিয়ার সাবেক শাসক গাদ্দাফির ছেলের প্রেসিডেন্ট হওয়ার স্বপ্ন আপাতত শেষ। নির্বাচন কমিশন তার মনোনয়নপত্র বাতিল করেছে। সাইফ আল-ইসলাম গাদ্দাফির প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার যোগ্যতা নেই বলে জানিয়েছে কমিশন। দেশটিতে আগামী ডিসেম্বরে এ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে।
কমিশনের মতে, অপরাধমূলক কাজের জন্য সাইফ গাদ্দাফির শাস্তি হয়েছে। তাই তিনি প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে লড়ার যোগ্যতা হারিয়েছেন।
২০১১ সালে লিবিয়ায় বিদ্রোহ হয়েছিল। সে সময় গাদ্দাফিপুত্র যুদ্ধাপরাধ করেছিলেন বলে অভিযোগ ওঠে। ২০১৫ সালে তিনি দোষী সাব্যস্ত হন এবং তার মৃত্যুদণ্ডহয়। সাইফ গদ্দাফি অবশ্য দাবি করেন, তিনি নির্দোষ।
তাকে আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালতও খুঁজছে। সেখানে তার বিরুদ্ধে মানবাধিকার লঙ্ঘনের অভিযোগ রয়েছে।
অবশ্য সাইফ একা নন, মোট ২৫ জন প্রার্থীর মনোনয়ন বাতিল করেছে কমিশন। তার মধ্যে সাবেক প্রধানমন্ত্রী থেকে শুরু করে রাজনৈতিক দলের প্রধানও আছেন। তারা অবশ্য এই সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে আবেদন জানাতে পারবেন।
সাইফ বহুবছর পর জনসমক্ষে এসেছিলেন। এর আগে তিনি প্রেসিডেন্ট পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার জন্য মনোনয়নপত্র জমা দেন। গাদ্দাফির ছেলে নির্বাচনে জিততে পারেন এমন মত দিয়েছিলেন লিবিয়ার কিছু পর্যবেক্ষকরা। আবার কিছু পর্যবেক্ষক মনে করেছেন, সাইফ নির্বাচনকে অস্থির করা ছাড়া আর কিছুই করতে পারবেন না।
দেশটিতে প্রেসিডেন্ট নির্বাচন হওয়ার কথা আগামী ২৪ ডিসেম্বর। কিন্তু যেভাবে এই নির্বাচন নিয়ে বিতর্ক দানা বাঁধছে, তাতে শেষ পর্যন্ত ওই নির্বাচন হবে কি না, তা নিয়েও সংশয় দেখা দিয়েছে। তবে জাতিসংঘ চায় নির্বাচন হোক। গত এক দশক ধরে লিবিয়ায় টালমাটাল পরিস্থিতি চলছে। নির্বাচন হলে পরিস্থিতি ভালো হবে বলে জাতিসংঘ ধারণা করছে। তবে বেশ কিছু প্রধান দল নির্বাচনে অংশ নিতে চায় না। কোন আইনগত ভিত্তির উপর নির্বাচন হবে, সেটাও স্পষ্ট নয় এখনো।
সূত্র: ডয়েচে ভেলে, রয়টার্স