শিরোনাম
জার্মানির আগামী চ্যান্সেলর হিসেবে শপথ নিতে চলেছেন ওলাফ শলৎস। বুধবার তিনি শরিক দলের নেতাদের সঙ্গে কোয়ালিশন চুক্তি প্রকাশ করেছেন।
চরম গোপনীয়তার বেড়াজালে আলোচনা চালিয়ে নিজস্ব সময়সূচি মেনে জার্মানির তিনটি রাজনৈতিক দল আগামী জোট সরকারের রূপরেখা চূড়ান্ত করেছে।
সামাজিক গণতন্ত্রী এসপিডি, উদারপন্থি এফডিপি ও পরিবেশবাদী সবুজ দলকে এবার শুধু আনুষ্ঠানিকভাবে কোয়ালিশন চুক্তির অনুমোদন করতে হবে। তারপর মন্ত্রিসভার সদস্যদের নাম চূড়ান্ত করে ওলাফ শলৎসের নেতৃত্বে জার্মানির আগামী সরকার কার্যভার গ্রহণ করতে পারবে। সম্ভবত ৬ ডিসেম্বর ফেডারেল জার্মানির নবম চ্যান্সেলর হিসেবে শপথ নেবেন তিনি। সেইসঙ্গে অ্যাঙ্গেলা মের্কেলের দীর্ঘ প্রায় ১৬ বছরের কার্যকালের অবসান ঘটবে। তার রক্ষণশীল ইউনিয়ন শিবিরকে সংসদের বিরোধী আসনে বসতে হবে।
বুধবার ‘ট্রাফিক লাইট কোয়ালিশন'-এর তিন শরিক দলের শীর্ষ নেতারা সাংবাদিকদের সামনে ১৭৭ পাতার কোয়ালিশন চুক্তি প্রকাশ করে বক্তব্য রাখেন এবং তাদের প্রশ্নের জবাব দেন।
শলৎস বলেন, ১৯২৪ সালে বার্লিনের পটসডামার প্লাৎস এলাকায় যখন প্রথম ট্রাফিক লাইট বসানো হয়েছিল, অনেকে তখন সেটির কার্যকারিতা নিয়ে সংশয় প্রকাশ করেছিলেন। নিয়ন্ত্রণ ও সঠিক দিশা দেখানোর ক্ষেত্রে ট্রাফিক লাইট অপরিহার্য হয়ে উঠেছে। চ্যান্সেলর হিসেবে তিনি ‘ট্রাফিক লাইট' জোটের মাধ্যমে জার্মানিতে একই রকম যুগান্তকারী ভূমিকা পালনের আশা প্রকাশ করেন।
একাধিক ক্ষেত্রে আমূল সংস্কারের মাধ্যমে জার্মানির আধুনিকীকরণের ওপর জোর দেন তারা। জলাবায়ু পরিবর্তনের মোকাবিলা করতে কার্বন নির্গমন কমানো, দেশের প্রায় সব ক্ষেত্রে ডিজিটাল প্রযুক্তির প্রয়োগ, ইউরোপীয় ইউনিয়নের সঙ্গে আরও নিবিড় সম্পর্কের মতো একাধিক ক্ষেত্রে উচ্চাকাঙ্ক্ষী লক্ষ্যমাত্রা স্থির করছে এই জোট।
বাড়তি সরকারি ঋণ ছাড়াই এমন অসাধ্যসাধন করতে হবে। তবে সবার আগে জার্মানি তথা ইউরোপের ভয়াবহ করোনা সংকট মোকাবিলার ওপর জোর দিতে চায় এই জোট। সরকার গঠনের আগেই সংসদে সংক্রমণ সুরক্ষা আইন সংশোধনী প্রস্তাব অনুমোদন করে এই তিন দল সেই উদ্যোগ শুরু করেছে। সংকটের মোকাবিলা করতে বিশেষজ্ঞ কমিটি গড়ার মতো আরও পদক্ষেপ নিয়ে নতুন সরকার অবিলম্বে করোনা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে চায়।
এখনো জার্মানির নতুন মন্ত্রিসভার তালিকা চূড়ান্ত না হলেও কিছু নাম উঠে আসছে। শলৎস মন্ত্রিসভায় সমান সংখ্যক নারী ও পুরুষ সদস্যদের স্থান দিতে চান। নির্বাচনে সবুজ দলের চ্যান্সেলর পদপ্রার্থী আনালেনা বেয়ারকক পররাষ্ট্রমন্ত্রী এবং দলের নেতা রোব্যার্ট হাবেক অর্থনীতিবিষয়ক মন্ত্রী ও ভাইস চ্যান্সেলর হতে পারেন।
সূত্র: ডয়েচে ভেলে, রয়টার্স