শিরোনাম
পাকিস্তানের ৮৭ শতাংশ মানুষ মনে করে দেশটি ভুল পথে চলছে। সম্প্রতি একটি জরিপে এ তথ্য উঠে এসেছে। প্যারিসভিত্তিক বহুজাতিক বাজার গবেষণা এবং পরামর্শক সংস্থা আইপিএসওএস ওই জরিপ চালিয়েছে। বুধবার (২৪ নভেম্বর) জিও টিভির এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়।
জরিপে প্রায় এক হাজার একশ মানুষ অংশগ্রহণ করেছে। এই জরিপ চালানো হয়েছে ২০২১ সালের নভেম্বরে অর্থাৎ চলতি মাসেই।
আইপিএসওএসের কনজিউমার কনফিডেন্স ইনডেক্সের চতুর্থ ত্রৈমাসিক প্রতিবেদন অনুযায়ী, মুদ্রাস্ফীতিকে দেশের সবচেয়ে বড় সমস্যা মনে করেন ৪৩ শতাংশ।
জরিপে অংশ নেওয়াদের মধ্যে ১৪ শতাংশ বলছেন, বেকার সমস্যা পকিস্তানের একটি গুরুত্বপূর্ণ সমস্যা। তবে ১২ শতাংশ মনে করেন, পাকিস্তানের উল্লেখযোগ্য সমস্যা হচ্ছে দারিদ্র্য।
অংশগ্রহণকারীরা জানিয়েছেন, পাকিস্তানের অর্থনৈতিক অবস্থা খুবই দুর্বল। মাত্র ৫ শতাংশ জানিয়েছেন অর্থনীতি ঠিক আছে। ২৬ শতাংশ মনে করেন মুদ্রাস্ফীতি হচ্ছে দেশটির সবচেয়ে বড় ইস্যু। কিছুদিন আগেও ১৮ শতাংশ মানুষ মনে করতেন করোনাভাইরাস একটি গুরুত্বপূর্ণ ইস্যু তবে সে হার কমে এখন ৮ শতাংশে নেমেছে।
জরিপের ফলাফল অনুযায়ী, দেশটির পাঁচ শতাংশ মনে করে শুল্কের বোঝা একটি বড় সমস্যা। তাছাড়া চার শতাংশের কাছাকাছি মানুষ রুপির অবমূল্যায়ন, তিন শতাংশের মতো মানুষ বিদ্যুতের ওপর শুল্ক বৃদ্ধি, দুই শতাংশ দুর্নীতি, ঘুষ ও স্বজনপ্রীতি, দুই শতাংশ লোডশেডিং এবং এক শতাংশ মানুষ আইন প্রয়োগের ক্ষেত্রে বৈষম্যকে বড় সমস্যা বলে মনে করেন।
তথ্য বিশ্লেষণ করে দেখা গেছে, মুদ্রাস্ফীতি ও অর্থনৈতিক সমস্যা হচ্ছে দেশটির প্রধান ইস্যু। পণ্যের মূল্য বৃদ্ধি ও বেকার সমস্যা নিয়েও মানুষ অনেক উদ্বিগ্ন।
আগামী ছয় মাসের মধ্যে অর্থনৈতিক অবস্থার উন্নতি হবে কিনা এমন প্রশ্নের উত্তরে ৬৪ শতাংশ জানিয়েছেন, তারা এমন কোনো সম্ভাবনা দেখছেন না। অন্যদিকে ১২ শতাংশ জানিয়েছেন তারা আশাবাদী। ২৪ শতাংশ এ ব্যাপারে কোনো মন্তব্য করেননি।
ব্যক্তিগত অর্থনৈতিক অবস্থার কথা জানতে চাইলে ৪৭ শতাংশ বলেন, তাদের অর্থনৈতিক অবস্থা দুর্বল ও অস্থিতীশীল। পাঁচ শতাংশ জানিয়েছে, তাদের অর্থনৈতিক অবস্থা শক্তিশালী। অন্যদিকে ৪৮ শতাংশ জানিয়েছেন তাদের অর্থনৈতিক অবস্থা দুর্বলও না আবার শক্তিশালীও না।
আইপিএসওএসের তথ্যানুযায়ী, ২০২১ সালের জুনের পর ২০ শতাংশের অর্থনৈতিক অবস্থা দুর্বল হয়েছে। আগামী ছয় মাসের মধ্যে ব্যক্তিগত অর্থনৈতিক অবস্থা ভালো হবে কিনা এমন প্রশ্নের উত্তরে ৬৩ শতাংশ জানিয়েছেন, এর কোনো সম্ভাবনা নেই। অর্থনৈাতিক অবস্থা দুর্বলই থাকার ইঙ্গিত দিয়েছেন তারা। যদিও ১৩ শতাংশ আশাবাদী। এর মধ্যে আবার ২৪ শতাংশ উত্তরদাতা তাদের উত্তরের ব্যাপারে নিশ্চিত নয়।