শিরোনাম
যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হওয়ার পর জো বাইডেন পররাষ্ট্রনীতি বিষয়ে তার প্রথম ভাষণে গণতন্ত্র সম্মেলন আয়োজনের অঙ্গীকার করেছিলেন। অঙ্গীকার অনুযায়ী ডিসেম্বরের ৯ ও ১০ তারিখ ভার্চুয়ালি অনুষ্ঠিত হবে এ সম্মেলন। মূলত বিশ্বব্যাপী কর্তৃত্ববাদী শাসনের বিস্তার ঘটার পরিপ্রেক্ষিতে মার্কিন প্রেসিডেন্ট এ সম্মেলনের আয়োজন করছেন।
মঙ্গলবার যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র দপ্তর থেকে গণতন্ত্র সম্মেলনে আমন্ত্রিত দেশগুলোর তালিকা প্রকাশ করা হয়। তালিকায় দেখা যায়, গণতন্ত্র বিষয়ে অনুষ্ঠেয় সম্মেলনে দাওয়াত পায়নি ভ্লাদিমির পুতিনের রাশিয়া, শি জিনপিংয়ের চীন ও রিসেপ তাইয়্যিপ এরদোগানের তুরস্ক। যদিও এতে দাওয়াত পেয়েছে ইউক্রেন। যে দেশের সঙ্গে রাশিয়ার উত্তেজনা চলছে।
এ ছাড়া দাওয়াত দেওয়া হয়েছে তাইওয়ানকে। যে দ্বীপ রাষ্ট্রকে চীন তার নিজের অংশ হিসেবেই দাবি করে। যুক্তরাষ্ট্রের এ সম্মেলনে তাইওয়ানকে আমন্ত্রণ জানানো স্বাভাবিকভাবেই চীনকে ক্ষুব্ধ করবে। বাণিজ্য, প্রযুক্তিসহ নানা ক্ষেত্রে চীনের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের দ্বন্দ্ব চলছে যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের আমল থেকেই।
এদিকে মধ্যপ্রাচ্য থেকে শুধু ইসরাইল ও ইরাক আমন্ত্রণ পেয়েছে সম্মেলনে অংশ নেওয়ার জন্য। মিসর, সৌদি আরব, জর্ডান, কাতার ও সংযুক্ত আরব আমিরাতের মতো মিত্রদের দাওয়াত দেয়নি যুক্তরাষ্ট্র।
দক্ষিণ এশিয়া থেকে দাওয়াত পেয়েছে— পাকিস্তান, ভারত, মালদ্বীপ ও নেপাল। আফ্রিকা থেকে দাওয়াত পেয়েছে— ডেমোক্র্যাটিক রিপাবলিক অব কঙ্গো, সাউথ আফ্রিকা, নাইজেরিয়া ও নাইজারের মতো দেশ।
ইউরোপ থেকে পোল্যান্ড দাওয়াত পেলেও আমন্ত্রিত দেশের তালিকায় নাম নেই হাঙ্গেরির। যদিও সম্প্রতি মানবাধিকার ইস্যুতে পোল্যান্ডের সঙ্গে ইউরোপীয় ইউনিয়নের মতবিরোধ চলছিল। এ ছাড়া ফ্রান্স, জার্মানিসহ ইউরোপের প্রায় সব দেশ সম্মেলনে আমন্ত্রণ পেয়েছে।