শিরোনাম
আফগানিস্তানে ২৪৪ কোটি টাকার মানবিক সহায়তা পাঠানোর প্রতিশ্রুতি দিয়েছে পাকিস্তান। সোমবার দেশটির প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান এই অঙ্গীকার করেন। এক প্রতিবেদনে এ খবর জানিয়েছে কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল জাজিরা।
পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রীর দফতর জানিয়েছে, আফগানিস্তানের জন্য ২৮ দশমিক ৪ মিলিয়ন ডলারেরও বেশি চিকিৎসা, খাদ্য এবং অন্যান্য মানবিক সহায়তার ঘোষণা দিয়েছেন ইমরান খান। বাংলাদেশি মুদ্রায় এর পরিমাণ দাঁড়ায় ২৪৪ কোটি টাকারও বেশি।
ভারত থেকে পাকিস্তান হয়ে আফগানিস্তানে খাদ্য সহায়তা পরিবহনের অনুমোদন দেওয়ার কথাও জানিয়েছে ইমরান খানের দফতর।
সোমবার ইসলামাবাদে পররাষ্ট্রমন্ত্রী, অর্থমন্ত্রী, সেনাপ্রধান এবং জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টাসহ শীর্ষস্থানীয় সরকারি কর্মকর্তাদের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন ইমরান খান।
বৈঠক শেষে এক বিবৃতিতে বলা হয়, প্রধানমন্ত্রী অবিলম্বে আফগানিস্তানে পাঁচ বিলিয়ন পাকিস্তানি রুপির (প্রায় ২৮ দশমিক ৪ মিলিয়ন ডলার) মানবিক সহায়তার একটি চালান পাঠানোর আদেশ দিয়েছেন। এতে ৫০ হাজার মেট্রিক টন গম, জরুরি চিকিৎসা সামগ্রী, শীতকালীন আশ্রয়কেন্দ্র এবং অন্যান্য সামগ্রী অন্তর্ভুক্ত থাকবে।
আফগানিস্তানের সুনির্দিষ্ট কিছু রফতানি সামগ্রীর ওপর শুল্ক কমানোরও ঘোষণা দিয়েছে ইসলামাবাদ।
এদিকে আফগানিস্তানের অর্থনৈতিক সংকটের ব্যাপারে ফের হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করেছে জাতিসংঘ। সংস্থাটি বলছে, অর্থনৈতিক ও ব্যাংকিং ব্যবস্থা পতনের দ্বারপ্রান্তে রয়েছে আফগানিস্তান। জাতিসংঘ মহাসচিবের মুখপাত্র স্টিফেন ডুজারিক সোমবার এই হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করেন।
স্টিফেন ডুজারিক বলেন, আফগানিস্তানের ক্রেডিট মার্কেটে অনাদায়ী ঋণের পরিমাণ ২০২০ সালে যেখানে ছিল শতকরা ২০ ভাগ, তা চলতি বছরে ৫৭ শতাংশে এসে দাঁড়িয়েছে। তিনি বলেন, আফগান ব্যাংকগুলো থেকে গ্রাহকরা তাদের পুঁজি তুলে ফেলছেন। এই প্রবণতা অব্যাহত থাকলে চলতি বছরের শেষ নাগাদ ব্যাংকে জনগণের গচ্ছিত অর্থ শতকরা ৪০ ভাগ কমে যাবে।
আসন্ন শীতকালকে সামনে রেখে আফগানিস্তানে দারিদ্র্য ও বেকারত্ব ব্যাপকভাবে বেড়ে যাওয়ার আশঙ্কা করা হচ্ছে। শীতকালে দেশটির কোনও কোনও এলাকার তাপমাত্রা হিমাঙ্কের নিচে চলে যায়। এ সময় বিশেষ করে দিনমজুরদের তেমন কোনও কাজ থাকে না। আন্তর্জাতিক সংস্থাগুলো সতর্ক করে দিয়ে বলেছে, দেশটিতে মানবিক বিপর্যয় ভয়াবহ আকার ধারণ করতে পারে।