শিরোনাম
ভারতের কেন্দ্রীয় নারী ও শিশু উন্নয়নমন্ত্রী এবং অভিনেত্রী স্মৃতি ইরানির সাম্প্রতিকতম ছবি দেখে ভক্তরা চমকে গেছেন।
এক ঝকটায় অনেকটা ওজন ঝরিয়ে ফের সেই ছোট পর্দার ‘তুলসী’ হয়ে গেছেন যেন! ইনস্টাগ্রামে সেই ছবি দেখে মন্তব্য বাক্স ভরে গেছে তার ডায়েট জানতে চেয়ে। খবর টাইমস অব ইন্ডিয়ার।
কী খেয়ে তিনি এতটা ওজন ঝরাতে পেরেছেন, তা জানার কৌতূহল সবার। তার ঘনিষ্ঠ বন্ধু একতা কাপুর আবার সেখানে মন্তব্য করেছেন— ‘ডায়েট বন্ধ করো। আমার ঈর্ষা হচ্ছে’।
এবার জানা গেল, দেড় মাসের ডায়েটে তিনি নাকি কোনো গ্লুটেনযুক্ত খাবার এবং কোনো দুগ্ধজাত খাবার রাখেননি।
যারা ওজন কমাতে চান, তাদের জন্য এই খাদ্যাভ্যাস যথেষ্ট জনপ্রিয়। এ ধরনের খাদ্যাভ্যাসে যে কোনো খাবার যেখানে দুধ বা দুগ্ধজাত কোনো খাবারের লেশমাত্র থাকবে, তা এড়িয়ে চলতে হবে।
গ্লুটেনের ক্ষেত্রেও তাই। ময়দার যে কোনো পদ যাতে সহজেই একটি নির্দিষ্ট আকার পায়, তাতে সাহায্য করে গ্লুটেন। কিন্তু গ্লুটেনের কোনো রকম পুষ্টিগুণ নেই। বরং কারও কারও গ্লুটেন থেকে পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া হতে পারে। সাধারণত যে খাবারগুলো থেকে আমাদের শরীরে নানা রকম অ্যালার্জি হয়ে হজমশক্তি কমে যায়, সেগুলো এই খাদ্যাভ্যাসে দূর করে দেওয়া যায়। তাই হজম ভালো হয়।
কিটো ডায়েট বা অন্য যে কোনো ‘ফাস্ট ডায়েট’-এর চেয়ে এই খাদ্যাভ্যাসে একটি পার্থক্য রয়েছে। এটি মূলত জীবনযাপনে বদল আনা। সাধারণ ঘরোয়া খাবার খেতেই পারেন, শুধু যাতে দুগ্ধজাত খাবার বা গ্লুটেন থাকবে না, সেগুলো এড়িয়ে যেতে হবে। শস্য, বাদাম, বীজ জাতীয় খাবার বেশি রাখতে হবে রোজকার খাদ্যতালিকায়।
দুগ্ধজাত খাবার এবং গ্লুটেন বাদ দিলেই যে আপনার অনেকটা ওজম কমে যাবে, তা নয়। কিন্তু এই খাদ্যাভ্যাস মেনে চললে যে কোনো মানুষের হজমশক্তি অনেকটাই বেড়ে যায়। তাই শরীরের যে কোনো খাবার তাড়াতাড়ি হজম করে ফেলা যায়। হরমোনের ক্ষরণ সঠিক মাত্রায় হয়। তাই শরীরও অনেক বেশি ঝরঝরে হয়