শিরোনাম
চীন এবং দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলোর জোট আসিয়ানের মধ্যে একটি ভার্চ্যুয়াল সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছে। তবে আজ সোমবার অনুষ্ঠিত ওই সম্মেলনে মিয়ানমারের কোনো প্রতিনিধি ছিলেন না। মালয়েশিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রী সাইফুদ্দিন আবদুল্লাহ সংবাদমাধ্যমকে এ তথ্য জানিয়েছেন। খবর, রয়টার্সের।
সাইফুদ্দিন জানান, সম্মেলনের আগের দিন রোববার মিয়ানমারের পক্ষ থেকে তাদের একজন প্রতিনিধির উপস্থিতির বিষয়ে চীনকে কথা দেওয়া হয়েছিল। তবে এ বিষয়ে মিয়ানমারের পক্ষ থেকে তাৎক্ষণিকভাবে কোনো বক্তব্য পাওয়া যায়নি।
আন্তর্জাতিক বার্তা সংস্থা রয়টার্সের প্রতিবেদনে বলা হয়, আসিয়ানের সঙ্গে চীনের সম্পর্কের ৩০ বছর পূর্তিতে এ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। সম্মেলনে চীনের প্রেসিডেন্ট সি চিন পিং আসিয়ানভুক্ত ১০ দেশের নেতাদের উদ্দেশে বলেন, চীন তার প্রতিবেশী ছোট দেশগুলোকে হুমকি-ধমকি দেবে না।
সাম্প্রতিক সময়ে বেইজিংয়ের দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার বেশ কয়েকটি দেশের সঙ্গে সমুদ্রসীমা নিয়ে উত্তেজনা দেখা দেয়। ওয়াশিংটন থেকেও এ বিষয়ে টোকিওকে সতর্কবার্তা পাঠানো হয়।
তবে সি চিন পিং বলেন, বেইজিং কখনো চীনের আয়তনের সুবিধা নিয়ে ছোট দেশগুলোর ওপর আধিপত্য বিস্তার করবে না। চীন সব সময় আসিয়ানের ভালো বন্ধু, প্রতিবেশী ও অংশীদার ছিল, আছে এবং থাকবে।
আসিয়ানের সদস্যদেশ ফিলিপাইন, ভিয়েতনাম, ব্রুনেই ও মালয়েশিয়ার সঙ্গে দক্ষিণ চীন সাগর নিয়ে চীনের বিবাদ রয়েছে।
গত বৃহস্পতিবার ফিলিপাইনের পক্ষ থেকে বলা হয়, চীনের কোস্টগার্ডের তিনটি জাহাজ ফিলিপাইনের দুটি নৌকার পথ রোধ করে এবং জলকামান ব্যবহার করে। ফিলিপাইনের নৌকা দুটি দক্ষিণ চীন সাগরের একটি বালুচরে থাকা তাদের সেনাদের জন্য নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিস নিয়ে যাচ্ছিল। কিন্তু চীনের বাধার কারণে তাদের ফিরে যেতে হয়।
এদিকে গত শুক্রবার যুক্তরাষ্ট্র এই ঘটনাকে ‘বিপজ্জনক, উসকানিমূলক ও অযৌক্তিক’ আখ্যায়িত করেছে। ফিলিপাইনের নৌকায় সশস্ত্র হামলা যুক্তরাষ্ট্রের দ্বিপক্ষীয় প্রতিরক্ষা চুক্তিকে সক্রিয় করবে বলেও সতর্ক করে দেয় যুক্তরাষ্ট্র।
চীনের আয়োজনে অনুষ্ঠিত সম্মেলনে নৌকা আটকের ঘটনা উল্লেখ করে ফিলিপাইনের প্রেসিডেন্ট রদ্রিগো দুতার্তে বলেন, তিনি এ ধরনের বিবাদ ‘ঘৃণা’ করেন। এসব বিবাদ মেটানোর একমাত্র উপায় হচ্ছে আইনের শাসন। তিনি ২০১৬ সালে আন্তর্জাতিক সালিস আদালতের দেওয়া রায়ের কথা উল্লেখ করে বলেন, দক্ষিণ চীন সাগর নিয়ে বেইজিংয়ের দাবির আইনগত কোনো ভিত্তি নেই।