শিরোনাম
জ্বালানি তেল বিক্রি করে যথেষ্ট পরিমাণে লাভ হচ্ছে না অভিযোগে আগামী ২৫ নভেম্বর দেশজুড়ে ধর্মঘটের ডাক দিয়েছেন পাকিস্তানের তেলের ডিলাররা। দেশটিতে অল্প লাভে আর কেউ তেল বিক্রি করতে আগ্রহী নন বলে জানিয়েছে পাকিস্তান পেট্রোলিয়াম ডিলারস অ্যাসোসিয়েশন (পিপিডিএ)। দাবি পূরণ না হলে এরপর অনির্দিষ্টকালের ধর্মঘট ডাকা হবে বলে হুঁশিয়ারিও দিয়েছে তারা। সংশ্লিষ্ট সূত্রের বরাতে সোমবার (২২ নভেম্বর) এসব কথা জানিয়েছে পাকিস্তানি দৈনিক দ্য নিউজ ইন্টারন্যাশনাল।
পিপিডিএ’র এক মুখপাত্র জানিয়েছেন, আগামী ২৫ নভেম্বর পাকিস্তানের সব পেট্রল পাম্প বন্ধ থাকবে। তার কথায়, সরকার ১৭ নভেম্বরের মধ্যে আমাদের দাবি পূরণে ব্যর্থ হওয়ায় ধর্মঘট ছাড়া আর উপায় নেই। ওই দিন পাকিস্তানশাসিত কাশ্মীর এবং গিলগিট বালতিস্তানের পেট্রল পাম্পগুলোও বন্ধ রাখা হবে।
তেলের ডিলারদের এ মুখপাত্র আরও জানান, তাদের ধর্মঘট অনির্দিষ্টকালের জন্য বাড়ানো হতে পারে, যদি সরকার মিথ্যা সান্ত্বনা দেয়।
গত তিন সপ্তাহের মধ্যে এটি পাকিস্তানি তেল ব্যবসায়ীদের দ্বিতীয় ধর্মঘটের ডাক। এর আগে, গত ৫ নভেম্বর একই ধরনের ঘোষণা দিয়েছিলেন তারা। কিন্তু সরকার পক্ষ পেট্রোলিয়াম পণ্য বিক্রিতে ডিলারদের লভ্যাংশ ছয় শতাংশ করতে সম্মত হওয়ার পরে ধর্মঘট প্রত্যাহার করা হয়।
তবে সমঝোতার দুই সপ্তাহ পরেও বিষয়টি কার্যকর না হওয়ায় নাখোশ তেলের ডিলাররা। গত ৩ নভেম্বর করাচি প্রেসক্লাবের মিলনায়তনে এক সংবাদ সম্মেলনে পিপিডিএ চেয়ারম্যান আবদুল সামি খান অভিযোগ করেন, সরকার বিদ্যুতের দাম বাড়ানোর পরেও জ্বালানি তেল বিক্রিতে তাদের মাত্র দুই শতাংশ লাভ দেয়। এ কারণে ব্যবসায় চড়া ব্যয় এবং কম লাভের কারণে তারা আর্থিক সংকটে পড়েছেন।
তিনি বলেন, আমাদের দাবি, সরকার যেন আমাদের পেট্রল পাম্পের লাইসেন্স বাতিল করে দেয়। অবশ্য ৫০ শতাংশ পাম্প এমনিতেই চিরতরে বন্ধ হয়ে যাবে, কারণ তারা লাইসেন্স নবায়নের জন্য আবেদনই করবে না।
অর্থনৈতিক সংকট কাটানোর কথা বলে গত ৪ নভেম্বর রাত থেকে পাকিস্তানে পেট্রোলিয়াম পণ্যের দাম লিটারপ্রতি প্রায় আট রুপি বাড়ায় পাকিস্তান সরকার। এর জেরে ইমরান খানের পদত্যাগের দাবি তোলেন বিরোধীরা। এরপরও ব্যাপক মূল্যস্ফীতি ও অর্থনৈতিক সংকটের কারণে তেলের দাম আরও বাড়ানোর সুপারিশ করে পাকিস্তানের তেল ও গ্যাস নীতিনির্ধারণী কর্তৃপক্ষ। তবে সম্প্রতি সেই প্রস্তাব নাকচ করে দিয়েছেন ইমরান খান।
পাকিস্তানে বর্তমানে পেট্রলের দাম প্রতি লিটার ১৪৫ দশমিক ৮২ রুপি এবং ডিজেলের দাম ১৪২ দশমিক ৬২ রুপি। এছাড়া কেরোসিন বিক্রি হচ্ছে ১১৬ দশমিক ৫৩ রুপিতে এবং হালকা ডিজেল ১১৪ দশমিক ০৭ রুপিতে।