শিরোনাম
তাইওয়ান থেকে জামরুল ও আতা আমদানি সাময়িকভাবে বন্ধ করে দিয়েছে চীন। এসব ফলে পোকা পাওয়া যাচ্ছিল বলে অভিযোগ করেছে চীনা কর্তৃপক্ষ। তবে এটি রাজনৈতিক কারণেই বন্ধ করা হয়েছে বলে দাবি করেছে তাইওয়ান। খবর রয়টার্সের।
তাইপেই-বেইজিং সম্পর্কে দীর্ঘদিন ধরেই টানাপোড়েন চলছে। ছোট্ট দ্বীপটিকে নিজেদের অংশ বলে দাবি করে চীন। নিজেদের আধিপত্য স্বীকার করাতে তাইওয়ানের ওপর ক্রমাগত রাজনৈতিক ও সামরিক চাপ বাড়িয়ে চলেছে তারা। দ্বন্দ্ব বাড়ছে অর্থনৈতিকভাবেও।
চীনের কাস্টমস প্রশাসন জানিয়েছে, তারা তাইওয়ান থেকে আমদানি করা আতা ও জামরুলে নিয়মিত ‘প্ল্যানোকক্কাস মাইনর’ নামে ছোট ছোট সাদা রঙের একধরনের পোকা পাচ্ছে। এ কারণে চীনা কাস্টমসের গুয়াংডং শাখা ও সংশ্লিষ্ট অফিসগুলোকে আগামী সোমবার (২০ সেপ্টেম্বর) থেকে ওইসব ফলের শুল্ক ছাড়পত্র দেওয়া বন্ধ করতে বলা হয়েছে।
তবে রোববার (১৯ সেপ্টেম্বর) তাইওয়ানের কৃষিমন্ত্রী চেন চি-চুং বলেছেন, চীন কোনো ধরনের প্রমাণ উপস্থাপন ছাড়াই এককভাবে সিদ্ধান্ত নিয়েছে। তিনি বলেন, আমরা এটি মানতে পারি না। তাইওয়ান চীনকে বলেছে, আগামী ৩০ সেপ্টেম্বরের আগে সমস্যা সমাধানে তাইপেইয়ের অনুরোধে সাড়া না দিলে তারা দেশটিকে বিশ্ব বাণিজ্য সংস্থায় (ডব্লিউটিও) নিয়ে যাবে।
চলতি বছর এ নিয়ে দ্বিতীয়বার তাইওয়ান থেকে ফল আমদানি বন্ধ করলো চীন। গত ফেব্রুয়ারিতে দ্বীপটি থেকে আনারস আমদানি নিষিদ্ধ করেছিল বেইজিং। কারণ হিসেবে বলা হয়েছিল, ফলটির মধ্যে ‘ক্ষতিকর প্রাণী’ চলে আসতে পারে। তবে সেসময়ও বেইজিংয়ের বিরুদ্ধে রাজনৈতিক ষড়যন্ত্রের অভিযোগ তোলে তাইপেই।