শিরোনাম
হামাসকে সন্ত্রাসী সংগঠন হিসেবে নিষিদ্ধ করতে ব্রিটেন যেই উদ্যোগ নিয়েছে, সেটিকে প্রত্যাখ্যান করেছে ফিলিস্তিন কর্তৃপক্ষ।
শনিবার ফিলিস্তিনের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ব্রিটেনের এই উদ্যোগের নিন্দা জানিয়ে বলেছে, এর মধ্য দিয়ে ফিলিস্তিনি জনগণের ওপর অবিচার করা হবে। কার্যত বেলফোর ঘোষণার মধ্য দিয়ে ফিলিস্তিনের মুসলমানরা ঐতিহাসিকভাবে অন্যায় ও দখলদারিত্বের শিকার হয়ে আসছে।
বেলফোর ঘোষণাও আসে ব্রিটিশ পররাষ্ট্রমন্ত্রী আর্থার বেলফোরের মাধ্যমে। ১৯১৭ সালের ২ নভেম্বর মধ্যপ্রাচ্য সংকটের মধ্যস্থতাকারী এই ব্রিটিশ নেতা বেলফোর ঘোষণা দেন যেটি কার্যত ফিলিস্তিনের ভূখণ্ডে ইহুদিদের বসতি নির্মাণের বৈধতা দেয়। শুক্রবার রয়টার্সের খবরে বলা হয়েছে, ফিলিস্তিনি স্বাধীনতাকামী সংগঠন হামাসকে সন্ত্রাসী সংগঠন হিসেবে নিষিদ্ধ করতে যাচ্ছে ব্রিটেন।
এর প্রতিক্রিয়ায় ফিলিস্তিনের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় বলেছে, হামাসকে সন্ত্রাসী সংগঠন হিসেবে ঘোষণার ব্রিটিশ উদ্যোগ এই অঞ্চলে শান্তি প্রতিষ্ঠার ক্ষেত্রে বাধা হয়ে দাঁড়াবে। সেই সঙ্গে গাজা উপত্যকার পুনর্গঠন ও এই অঞ্চলে সংহতি আনার যে চেষ্টা চলছে সেটিও বাধাগ্রস্ত হবে।
ফিলিস্তিন কর্তৃপক্ষ মনে করছে, ইসরাইলি চাপে ব্রিটেন হামাসকে সন্ত্রাসী তকমা দিতে যাচ্ছে। গ্লাসগোতে ব্রিটেনের প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে ইসরাইলের প্রধানমন্ত্রীর সাক্ষাতের পরই হামাসের বিরুদ্ধে অবস্থান নিতে যাচ্ছে লন্ডন।
ব্রিটিশ সরকারের পক্ষপাতমূলক আচরণের তীব্র নিন্দা জানিয়েছে ফিলিস্তিনের ইসলামি প্রতিরোধ আন্দোলন হামাস। এক বিবৃতিতে সংগঠনটি বলেছে, এ ধরনের কাজ না করে ব্রিটিশ সরকারের উচিত অবৈধ রাষ্ট্র ইসরাইল প্রতিষ্ঠায় নিজেদের ভূমিকার কথা স্মরণ করে লজ্জিত হওয়া।