শিরোনাম
টেকসই ঋণ ছাড়াই এবার আফ্রিকায় বিনিয়োগ করতে যাচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র। স্থানীয় সময় শনিবার (২০ নভেম্বর) কোনো শর্ত ছাড়াই বিনিয়োগের এ বার্তা দিলেন যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্থনি ব্লিঙ্কেন। সেনেগালের রাজধানী ডাকারে দেশটির সরকারের সঙ্গে ১ বিলিয়ন ডলারের বেশি বিনিয়োগ সংক্রান্ত চুক্তি সই অনুষ্ঠানে একথা বলেন তিনি। খবর রয়টার্সের।
আফ্রিকার অবকাঠামো, যোগাযোগ ও টেকসই উন্নয়নের লক্ষ্যে এই চুক্তির আওতায় সেনেগাল ও যুক্তরাষ্ট্রের চারটি কোম্পানি একসঙ্গে কাজ করবে।
গত এক দশকে এই মহাদেশ জুড়ে ছড়িয়ে পড়া চীনা অবকাঠামো প্রকল্পগুলোর সরাসরি সমালোচনা করেননি ব্লিঙ্কেন। তবে তিনি স্থানীয় সময় শুক্রবার (১৯ নভেম্বর) নাইজেরিয়া সফরকালে বলেন, আন্তর্জাতিক চুক্তিগুলো প্রায়ই অস্বচ্ছ ও জবরদস্তিমূলক ছিল।
সেনেগালের অর্থমন্ত্রী আমাদৌ হটের সঙ্গে চুক্তি সই অনুষ্ঠানে তিনি আরও বলেন, দেশকে এমন ঋণে জর্জরিত না করে যা তারা পরিচালনা করতে পারে না, সেভাবেই বিনিয়োগ করছে যুক্তরাষ্ট্র।
এসময় তিনি আরও বলেন, প্রতিবেশী মালির স্থিতিশীলতার জন্য তার গভীর উদ্বেগ রয়েছে, যেখানে গত ১৮ মাসে দেশটি দুটি অভ্যুত্থানের ঘটনা দেখেছে এবং অবশ্যই তাদের নির্বাচনী সময় মেনে চলার দরকার।
বিশ্বের বিনিয়োগকারীদের কাছে আফ্রিকা বিনিয়োগের টার্গেটে পরিণত হয়েছে। চীন এরই মধ্যে আফ্রিকার পছন্দের অংশীদারে পরিণত করেছে নিজেকে। আফ্রিকানদের কাছে চীনের প্রতি আগ্রহী হয়ে ওঠার পেছনে মূলত চারটি কারণ থাকতে পারে। যার মধ্যে রয়েছে শর্তহীন ঋণ প্রদান, দ্রুত সেবা ও সস্তায় পণ্য প্রদান, শান্তিরক্ষায় ভূমিকা পালন এবং বিকল্প উন্নয়ন মডেল। এবার যুক্তরাষ্ট্রও সে পথে হাটছে, এমনটা ধারণা করা হচ্ছে। আফ্রিকায় বড় বিনিয়োগ থেকে পিছিয়ে নেই জাপানও।