শিরোনাম
অভিবাসনপ্রত্যাশীদের গ্রিসে পৌঁছাতে সাহায্য করার অপরাধে ২৪ জনের বেশি কর্মী বিচারের মুখোমুখি হতে যাচ্ছেন। ২০১৬ থেকে ২০১৮ সালের মধ্যে এসব কর্মীরা বিভিন্ন দেশের অভিবাসনপ্রত্যাশীদের গ্রিসে পৌঁছাতে ভূমিকা রেখেছেন বলে দাবি করছে গ্রিস সরকার। বৃহস্পতিবার (১৮ নভেম্বর) থেকে তাদের বিচার কার্যক্রম শুরু হয়েছে। ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসির এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়।
তাদের বিরুদ্ধে গুপ্তচরবৃত্তি, জালিয়াতি ও রেডিও ফ্রিকোয়েন্সির বেআইনি ব্যবহারসহ বিভিন্ন অভিযোগ আনা হয়েছে। মানবাধিকার গোষ্ঠীগুলো এই বিচারকে রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত বলে নিন্দা করেছে। অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল অভিযোগগুলোকে প্রহসনমূলক বলে অভিহিত করেছে।
অভিবাসন সংকটের কেন্দ্র স্থল গ্রিসের লেসবোস দ্বীপে বিচার কার্যক্রমের আয়োজন করা হয়েছে। অভিযুক্ত ২৪ কর্মীর মধ্যে ১৭ জনই বিদেশি নাগরিক।
প্রসিকিউটররা অভিযোগ করেন, অভিযুক্ত কর্মীরা একটি অনুসন্ধান ও উদ্ধারকারী দলের সঙ্গে যুক্ত ছিল। তারা অবৈধভাবে অভিবাসনপ্রত্যাশীদের গ্রিসের সংরক্ষিত দ্বীপ লেসবোসে পৌঁছাতে সাহায্য করেছেন। যদি তাদের বিরুদ্ধে আনা অভিযোগ প্রমাণ হয় তাহলে তাদের পাঁচ বছরের কারাদণ্ড হতে পারে।
অভিবাসনপ্রত্যাশীদের সাহায্যর অভিযোগে গ্রিসে ২৪ কর্মীর বিচার শুরু
তাছাড়া মানবপাচারসহ কয়েকটি গুরুতর অপরাধের জন্য অনেকের বিরুদ্ধে তদন্ত চলছে। দোষী সাব্যস্ত হলে তাদের ২৫ বছর পর্যন্ত কারাদণ্ড হতে পারে।
বিচারের মুখোমুখি হওয়া আইরিশকর্মী শন বাইন্ডার বলেন, আমি যে কোনো ভুল করিনি আদালতে তা প্রমাণ করতে পারবো।
অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনালের ইউরোপীয় আঞ্চলিক অফিসের পরিচালক নিলস মুইজানিক্স এক বিবৃতিতে জানান, তারা যে অভিযোগের মুখোমুখি হয়েছেন তা প্রহসনমূলক। কখনই এ মামলার জন্য তাদের বিচারের মুখোমুখি হওয়া উচিত নয় বলেও জানান তিনি।