শিরোনাম
বেলারুশ-পোল্যান্ড সীমান্তে আটকে পড়া চার শতাধিক ইরাকি অভিবাসনপ্রত্যাশীদের ফিরিয়ে নেওয়ার প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। একটি চার্টার্ড ফ্লাইটে তাদের মিনস্ক থেকে বাগদাদে নিয়ে যাওয়া হবে। বৃহস্পতিবার (১৮ নভেম্বর) কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল-জাজিরার এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়।
ইরাকি অভিবাসনপ্রত্যাশীদের নিয়ে প্রথম ফ্লইটটি বেলারুশ ত্যাগ করবে বৃহস্পতিবার। ইরাক থেকে যারা ইউরোপে প্রবেশের আশায় বেলারুশ সীমান্তে এসেছে তাদের ফেরত নেওয়ার উদ্দেশ্যেই এ ফ্লাইট পরিচালিত হবে। এরই মধ্যে শীতের তীব্রতা, মানবিক সাহায্যের অভাবে পোল্যান্ড-বেলারুশ সীমান্তে অভিবাসনপ্রত্যাশীরা মানবেতর জীবন-যাপন করছে।
জানা গেছে, বেলারুশ-পোল্যান্ড সীমান্ত থেকে প্রথম ফ্লাইটে ৪৩০ জন ইরাকি অভিবাসনপ্রত্যাশীকে ফিরিয়ে নেওয়া হবে। ইরাকের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র আহমেদ আল-শাফ এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। তবে কতজন প্রথম ফ্লাইটে যেতে পারবে সে তথ্য এখনো নিশ্চিত হওয়া যায়নি। বেলারুশে অবস্থিত ইরাকের দূতাবাস আরও ৫০ জনের নাম নিবন্ধন করেছেন।
মিনস্ক ন্যাশনাল এয়ারপোর্টের ওয়েবসাইটের তথ্যানুযায়ী, ইরাকি এয়ারওয়েজের বোয়িং ৭৭০-৪৪০ এই ফ্লাইটটি পরিচালনা করবে। এই মডেলের প্লেনটিতে সাধারণত ৪১২টি সিট রয়েছে।
এর আগে মধ্যপ্রাচ্য থেকে আসা হাজার হাজার অভিবাসনপ্রত্যাশী বেলারুশ ও পোল্যান্ড সীমান্তের জঙ্গলে তীব্র শীতের মধ্যেই অবস্থান নেয়। ইউরোপীয় ইউনিয়নভুক্ত দেশ পোল্যান্ড এসব অভিবাসনপ্রত্যাশীদের আশ্রয় দিতে অস্বীকৃতি জানায়।
অভিবাসনপ্রত্যাশীদের মধ্যে বেশ কয়েকজন এরই মধ্যে মারা গেছেন। শীতের তীব্রতা বাড়ায় পরিস্থিতি খারাপ হওয়ায় বাকিদের নিরাপত্তা নিয়েও ঝুঁকি তৈরি হয়েছে।
রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের ঘনিষ্ঠ হিসেবে পরিচিত বেলারুশের প্রেসিডেন্ট আলেকজান্ডার লুকাশেঙ্কো বলেছেন, অভিবাসী সংকটের সঙ্গে বেলারুশের কোনো সম্পর্ক নেই।
অভিবাসনপ্রত্যাশীদের প্রবেশ ঠেকাতে এরই মধ্যে সেখানে কয়েক হাজার পুলিশ মোতায়েন করে পোল্যান্ড সরকার। সীমান্তে এমন জটিল পরিস্থিতির জন্য রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনকে দায়ী করেন পোল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী মারেউতস মোরাউইকি।
পোল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী অভিযোগ করেন, বেলারুশ কর্তৃপক্ষের সঙ্গে রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক রয়েছে। বেলারুশ সীমান্তের দিকে অভিবাসনপ্রত্যাশীদের ঠেলে দেওয়ার অভিযোগ করে তিনি বলেন, এই সংকটের মাস্টারমাইন্ড মস্কো।