বাংলাদেশে কমলা রপ্তানি কমে যাওয়ায় ক্ষতির শঙ্কায় ভারতীয় চাষিরা

ফানাম নিউজ
  ১৭ নভেম্বর ২০২১, ২১:৩৫

বাংলাদেশে ভুটান থেকে কমলা আমদানি করলে কোনো শুল্ক দিতে হয় না, কিন্তু ভারত থেকে আনলে লাগে। এ অবস্থায় মাস চারেক আগে কমলা আমদানির মূল্যায়ন মান বাড়ানোর জেরে দেশে শুল্কের হার আরও বেড়েছে। এর প্রভাবে কমে গেছে ভারত থেকে কমলা আমদানি। আর তাতেই ক্ষতির আশঙ্কায় দিন পার করছে ভারত, বিশেষ করে নাগপুরের কমলা চাষিরা।

গত মঙ্গলবার (১৬ নভেম্বর) এ বিষয়ে বড় একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে ভারতীয় সংবাদমাধ্যম টাইমস অব ইন্ডিয়া। এতে বলা হয়েছে, চার মাস আগে বাংলাদেশ সরকার প্রতি কেজি কমলার মূল্যায়ন মান (অ্যাসেসমেন্ট ভ্যালু) ১০ সেন্ট বাড়িয়েছে। মূল্যায়ন মান হচ্ছে সেই ভিত্তি মূল্য, যার ওপর শুল্ক নির্ধারিত হয়। ভারত থেকে কমলা আমদানিতে প্রায় ৯০ শতাংশ শুল্ক দিতে হয়।

এখন মূল্যায়ন মান বেড়ে যাওয়ায় কমলা আমদানির শুল্কও বেড়ে গেছে। তার জেরে কমে গেছে ভারত থেকে আমদানির পরিমাণ। তার ওপর ভুটান থেকে কমলা আমদানি শুল্কমুক্ত হওয়ায় বাংলাদেশি ব্যবসায়ীরাও ভারত থেকে আমদানি করে ক্ষতির মুখে পড়তে চাচ্ছেন না।

টাইমস অব ইন্ডিয়ার খবর অনুসারে, ভারতের কেন্দ্রীয় পরিবহনমন্ত্রী নিতিন গড়কড়ি নাগপুর থেকে বাংলাদেশে কমলা রপ্তানি বাড়তে জোর দিয়েছেন। গত শনিবার ভারতীয় মন্ত্রী জানিয়েছেন, বাংলাদেশের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে নয়াদিল্লিতে তার বৈঠক হয়েছে। এসময় নাগপুর থেকে বিপুল পরিমাণ কমলা আমদানির আশ্বাস দিয়েছেন বাংলাদেশি মন্ত্রী।

সূত্রের বরাতে ভারতীয় সংবাদমাধ্যমটি জানিয়েছে, এ বছর ভারতে কমলার উৎপাদন কম হয়েছে। তাই চাষিদের ক্ষতি পোষাতে দাম ভালো পাওয়া দরকার, যা কেবল রপ্তানি বাড়ানো গেলেই সম্ভব।

মনোজ জাভাঞ্জল নামে মহারাষ্ট্র সরকারের এক কর্মকর্তা জানান, সাধারণত নাগপুরের ২৫ শতাংশ কমলা বাংলাদেশে রপ্তানি হয়। কিন্তু এ বছর সেই মাত্রা না-ও পূরণ হতে পারে।