শিরোনাম
ছাদ থেকে পড়ে গুরুতর আহত হয়েছিল সাত বছরের শিশু সফিকুল। চিকিৎসার জন্য ভর্তি করা হয়েছিল মালদহ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে। অবস্থার অবনতি হলে তাকে কলকাতার এসএসকেএম হাসপাতালে নেওয়ার পরামর্শ দেন চিকিৎসকরা। কিন্তু সেই সুচিকিৎসা আর কপালে জুটলো না ছেলেটির। হাসপাতালে পৌঁছানোর আগেই মৃত্যু হয়েছে তার। মর্মান্তিক এ ঘটনাটি ঘটেছে পশ্চিমবঙ্গের কৃষ্ণনগরে।
ভারতীয় সংবাদমাধ্যম হিন্দুস্তান টাইমস জানিয়েছে, জগদ্ধাত্রী পূজার শোভাযাত্রা আয়োজনের দাবিতে মঙ্গলবার (৯ নভেম্বর) সন্ধ্যা থেকে কৃষ্ণনগরের পোস্ট অফিস মোড়সহ কোতোয়ালি থানার সামনে বিক্ষোভ করছিলেন একাধিক পূজা কমিটির সদস্যরা। তাতে সামিল হন স্থানীয়রাও।
পরে পিডব্লিউডি মোড় সংলগ্ন ৩৪ নম্বর জাতীয় সড়ক অবরোধ করা হয়। তাতে কয়েক ঘণ্টা জাতীয় সড়কে যানচলাচল সম্পূর্ণ বন্ধ হয়ে যায়। অবরোধ তুলতে গেলে পুলিশের সঙ্গে কয়েক দফা সংঘর্ষ হয় বিক্ষোভকারীদের।
এর মধ্যেই আটকা পড়ে একটি অ্যাম্বুলেন্স। বিষয়টি পুলিশের নজরে পড়লে দ্রুত যানজট কাটানোর চেষ্টা করা হয়। কিন্তু তাতে লাভ হয়নি। অ্যাম্বুলেন্সেই মৃত্যু হয় সাত বছরের শিশু সফিকুল শেখের। সে মালদহের মোথাবাড়ি থানার বাটিটোলা গোরঅন্তপুর এলাকার বাসিন্দা বলে জানা গেছে।
এ ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে বিক্ষোভকারীদের বিরুদ্ধে কোতোয়ালি থানায় অভিযোগ দায়ের করে সফিকুলের পরিবার। এর ভিত্তিতে রাতেই পাঁচজনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। তাদের বিরুদ্ধে অনিচ্ছাকৃত হত্যামামলা দায়ের করা হয়েছে।
তবে পুরো ঘটনায় পুলিশের ভূমিকা নিয়েও প্রশ্ন উঠছে। যানজট কেন আরও দ্রুত কাটানো গেল না, তা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন অনেকেই।