শিরোনাম
এশিয়া-প্যাসিফিক ইকোনমিক কো-অপারেশনের (অ্যাপেক) শীর্ষ সম্মেলন শুরু হচ্ছে আজ, স্থানীয় সময় সেমাবার (৮ নভেম্বর)। নিউজিল্যান্ডের আয়োজনে ভার্চুয়াল সম্মেলনে অংশ নেবেন ২১টি দেশের নেতারা। এবারের সম্মেলনে গুরুত্ব পাচ্ছে করোনা মহামারি। খবর রয়টার্সের।
এই সম্মেলনকে ঘিরে কিছুটা উত্তেজনা রয়েছে কারণ তাইওয়ান নিয়েও আলোচনা হতে পারে। সেই সঙ্গে ২০২৩ সালে যুক্তরাষ্ট্র এই শীর্ষ সম্মেলন আয়োজনের উদ্যোগ নিচ্ছে।
নিউজিল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী জেসিন্ডা আর্ডার্ন এক বিবৃতিতে জানিয়েছেন, শতাব্দির সবচেয়ে বড় সংকট থেকে উত্তরণের পথ কি হতে পারে সেদিকেই গুরুত্ব দেওয়া হবে।
তিনি আরও বলেন, আমরা একত্রে মেডিকেল সংক্রান্ত সব ধরনের সরবরাহ অব্যাহত রাখবো। যেমন- টেস্টিং কিট, পিপিই এবং করোনার টিকা সরবরাহ করা হবে।
যুক্তরাষ্ট্র, চীন ও রাশিয়ার রাষ্ট্রপ্রধানরা শুক্রবার রাতে অনলাইনে বৈঠক করার আগে বৈঠকের শুরুতে ২১ টি অর্থনৈতিক জোটের বাণিজ্য ও পররাষ্ট্র মন্ত্রীরা কথা বলবেন।
বৈশ্বিক উৎপাদনের ৬০ ভাগই আসে অ্যাপেকভূক্ত দেশগুলো থেকে। ইতালির রোমে জি-২০ সম্মেলন ও স্কটল্যান্ডের গ্লাসগোতে জলবায়ুবিষয়ক শীর্ষ সম্মেলন কপ২৬ এর পর অ্যাপেক সম্মেলনে যোগ দিতে যাচ্ছেন বিশ্বনেতারা।
এশীয়-প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলের ২১টি দেশের বাণিজ্যিক গোষ্ঠী অ্যাপেক বিশ্ব অর্থনীতির গতি-প্রকৃতির উপর বড় ধরনের প্রভাব ফেলে। সম্প্রতি চীন ও যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যে উত্তেজনা বেড়ে যাওয়ায় অন্যান্য দেশের মধ্যেও এক ধরনের অস্বস্তি বিরাজ করছে।
সম্প্রতি শেষ হয়েছে বিশ্বনেতাদের অংশগ্রহণে জি-২০ সম্মেলন। সেই সম্মেলনেও আশানুরূপ কোনো ফলাফল দেখতে পাননি বিশ্ববাসী। গ্লাসগোতে চলছে জলবায়ুবিষয়ক সম্মেলন। এই সম্মেলনেও নতুন করে কোনো চুক্তি হচ্ছে না। আগের চুক্তির শর্ত বাস্তবায়নেরই প্রতিশ্রুতি দিচ্ছেন বিশ্বনেতারা। এবার অ্যাপেক সম্মেলন কতটা সফল হবে সেটাই দেখার বিষয়, বলছেন বিশ্লেষকরা।