শিরোনাম
ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর (বিএসএফ) এক সদস্যের বাড়িতে ডাকাতির ঘটনা ঘটেছে। আগ্নেয়াস্ত্র ঠেকিয়ে ডাকাতরা ওই বাড়ির সদস্যদের মারধর করেছে। নগদ টাকা ও গহনা লুট করে নিয়ে গেছে ডাকাতরা। তবে ফিল্মি কায়দায় ঘটনাস্থলে পৌঁছে তিনজনকে গ্রেফতার করতে সক্ষম হয়েছে পুলিশ। এই ঘটনায় পশ্চিমবঙ্গের ত্রিবেনী পালপাড়ায় চাঞ্চল্য তৈরি হয়েছে।
ত্রিবেনীর প্রতাপ সিংয়ের বাড়িতে হামলা চালায় ডাকাত দল। বিএসএফ এ কর্মরত প্রতাপ রাজস্থানে দায়িত্ব পালন করছেন। তিনি ছুটি কাটাতে বাড়িতে এসেছিলেন।
প্রতাপ জানান, ডাকাতির সময় বাড়িতে সবাই ঘুমিয়ে ছিল। রান্না ঘরের জানালা ভেঙে ঘরে ঢোকে দুষ্কৃতরা। দোতলায় তার বাবা হরিনাথ সিং নাতি প্রতিককে নিয়ে ঘুমিয়ে ছিলেন। সেই ঘরে ঢুকে বাবাকে মারধর করে লুটপাট চালাতে থাকে দুষ্কৃতরা।
দাদাকে মারতে দেখে ১০ বছরের প্রতিক দুষ্কৃতদের ওপর ঝাঁপিয়ে পরে। তাকেও মারধর করা হয়।আগ্নেয়াস্ত্র দিয়ে ভয় দেখায় ডাকাত দলের সদস্যরা। নাতিকে মারছে দেখে দাদা বাধা দিলে লোহার রড দিয়ে মেরে মাথা ফাটিয়ে দেওয়া হয়।
এর মধ্যে নিচের ঘরের লোকজন উঠে পরে। ডাকাত পরেছে বুঝতে পেরে এক পরিচিতকে ফোন করে পুলিশকে খবর দিতে বলেন প্রতাপ। কিছুক্ষণের মধ্যেই মগড়া থানার পুলিশ হাজির হয়। তিনজনকে বাড়ি থেকেই আটক করতে সক্ষম হয় পুলিশ। ডাকাত দলে পাঁচ থেকে ছয়জন ছিল। বাকিরা নগদ ৮০ হাজার টাকা এবং ১৫ লাখ টাকার গহনা নিয়ে পালিয়েছে।
আগামী ১ ডিসেম্বর প্রতাপের মেয়ের বিয়ে। কেনাকাটা চলছিল তাদের বাড়িতে। অনেক টাকা পাওয়া যাবে ভেবেই হয়ত ডাকাতি করা হয়েছে। পুলিশ আটকদের জেরা করে বাকিদের খুঁজে বের করার চেষ্টা করছে।
হরিনাথ বলেন,আমি নাতিকে নিয়ে শুয়ে ছিলাম। তখন ডাকাররা ঢুকে আমাকে ভয় দেখায়। ওরা যখন আমার নাতিকে মারতে লাগলো আমি ওদের বাধা দিলাম। তখন রড দিয়ে আমার মাথায় বাড়ি মারলো। ছোটো মেয়ের বিয়ের গহনা কেনা হয়েছিল। বড় মেয়ের নগদ টাকা ও গহনা ছিল। সব নিয়ে গেছে ডাকাতরা। উপর নিচের সব ঘরে লুটপাট চালানো হয়েছে। কিন্তু পুলিশ সঠিক সময়ে এসে পড়ায় তিনজনকে ধরতে পেরেছে। এখন লুটের মাল ফেরত পেলেই ভালো।