শিরোনাম
জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব মোকাবিলা করতে দরিদ্র দেশগুলোকে ২৯ কোটি পাউন্ড সহায়তা দেওয়ার ঘোষণা দিয়েছে যুক্তরাজ্য। কপ২৬ জলবায়ু শীর্ষ সম্মেলনে এই প্রতিশ্রুতি দিয়েছে বরিস জনসনের দেশ। কপ২৬ সম্মেলনের দ্বিতীয় সপ্তাহ চলছে।
বিশ্বের বিভিন্ন দেশের মন্ত্রীরা আরও আলোচনার জন্য গ্লাসগোতে অবস্থান করছেন। জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে ক্ষতির মুখে পড়া দরিদ্র দেশগুলোকে কিভাবে সহায়তা দেওয়া যায় এবং প্রাকৃতিক দুর্যোগের কারণে সৃষ্ট ক্ষয়ক্ষতি কাটিয়ে উঠতে দরিদ্র দেশগুলোকে সাহায্য করার বিষয়ে আলোচনা করবেন তারা।
দরিদ্র দেশগুলো এক হাজার কোটি ডলার আর্থিক সহায়তা চেয়েছে। তারা বলছে, জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে তারা এরই মধ্যে ক্ষতির শিকার হয়েছে এবং ভবিষ্যতেও সবচেয়ে বেশি ক্ষতির মুখে পড়বে।
জলবায়ু পরিবর্তনের জন্য ক্ষতিকারক কার্বন ডাই অক্সাইড নিঃসরণে ঐতিহাসিকভাবে উন্নয়নশীল দেশগুলোর দায় কিছুটা কম। বর্তমানে বিশ্বের ধনী দেশগুলোই কার্বন নিঃসরণে সবচেয়ে বেশি ভূমিকা রাখছে। বিশ্বের ৫০ শতাংশ দরিদ্র দেশ যে পরিমাণ কার্বন নিঃসরণ করছে তার চেয়ে কয়েক গুণ বেশি কার্বন নিঃসরণ করছে এক শতাংশ ধনী দেশ।
যুক্তরাজ্য সরকার বলছে, তাদের সহায়তার সিংহভাগ অর্থ এশিয়া ও প্রশান্ত মহাসাগরীয় দেশগুলোর পরিকল্পনা এবং জলবায়ু কার্যক্রমে বিনিয়োগ, সংরক্ষণের উন্নয়ন এবং স্বল্প-কার্বন উন্নয়নে সহায়তা করবে।
আগামী রোববার পর্যন্ত জাতিসংঘের এই জলবায়ু সম্মেলন চলবে। কিভাবে বৈশ্বিক তাপমাত্রা ১.৫ ডিগ্রি সেলসিয়াসের মধ্যে সীমাবদ্ধ রাখা যায় তার ওপর গুরুত্ব দিয়েই আলোচনা চলছে।
সোমবার ছিল জলবায়ু পরিবর্তনের ক্ষেত্রে অভিযোজন, হ্রাস এবং ক্ষতি দিবস। কিভাবে পৃথিবীতে উষ্ণতার প্রভাব কমানো যায়, বিশেষ করে দরিদ্র দেশগুলোর বিষয়ে আলোচনা করা হবে।
কার্বন নিঃসরণ কমাতে, জলবায়ু পরিবর্তনের সঙ্গে খাপ খাইয়ে নিতে এবং ২০৫০ সালের আগে কার্বন নিঃসরণ শূন্যে পৌঁছানোর লক্ষ্যে বার্ষিক এক হাজার কোটি ডলার সহায়তা চাইছে উন্নয়নশীল দেশগুলো। ২০০৯ সালেও একই পরিমাণ অর্থ সহায়তা চাওয়া হয়েছিল।