শিরোনাম
ফিলিস্তিনিদের জন্য জেরুজালেমে মার্কিন কনস্যুলেট খুলে দেওয়ার পরিকল্পনা করেছে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন প্রশাসন। তবে ইসরাইল ওই পরিকল্পনার বিরোধিতা করে বলেছে, জেরুজালেম নয়, দখলীকৃত পশ্চিম তীরে মার্কিন কনস্যুলেট স্থাপন করা উচিত। মার্কিন সংবাদ মাধ্যম সিএনএন রোববার এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে।
স্থানীয় সময় শনিবার সন্ধ্যায় আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে সিএনএনের তরফ থেকে ইসরাইলের প্রধানমন্ত্রী নাফতালি বেনেটের কাছে জেরুজালেমে কনস্যুলেট খোলার মার্কিন পরিকল্পনার ব্যাপারে জানতে চাওয়া হয়।
তিনি বলেন, যুক্তরাষ্ট্রের সামনে আমার এবং আমাদের অবস্থান জানানো হয়েছে। ফিলিস্তিনিদের সেবা দেওয়ার জন্য জেরুজালেমে যুক্তরাষ্ট্রের কনস্যুলেট স্থাপনের জন্য কোনো জায়গা হবে না বলে তাদের জানিয়ে দেওয়া হয়েছে। কোনো নাটকীয়তার আশ্রয় না নিয়ে জোরারো এবং স্পষ্টভাবে আমরা আমাদের বক্তব্য জানিয়ে দিয়েছি।
বেনেটের পর সংবাদ সম্মেলনে কথা বলেন ইসরাইলের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ও ভবিষ্যত প্রধানমন্ত্রী ইয়াইর লাপিদ। তিনি জেরুজালেমের বদলে দখলীকৃত পশ্চিম তীরে রামাল্লায় ফিলিস্তিনিদের জন্য কনস্যুলেট খোলার প্রস্তাব দিয়ে বলেছেন, যুক্তরাষ্ট্র চাইলে রামাল্লায় কনস্যুলেট খুলতে পারে। তাতে আমাদের কোনো সমস্যা থাকবে না।
এদিকে ইয়াইর লাপিদের রামাল্লায় মার্কিন কনস্যুলেট খোলার প্রস্তাব ফিলিস্তিনি প্রেসিডেন্ট মাহমুদ আব্বাসের মুখপাত্র নাবিল আবু রুদেইনেহ প্রত্যাখ্যান করে বলেছেন, আমরা শুধু জেরুজালেমে যুক্তরাষ্ট্রের কনস্যুলেট খোলার ব্যাপারে সম্মত হবো। কারণ জেরুজালেম ফিলিস্তিনের রাজধানী।
যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের প্রশাসন ২০১৯ সালে কনস্যুলেটটি বন্ধ করে দিয়েছিল।
এদিকে ফিলিস্তিনের সঙ্গে সম্পর্ক পুনঃস্থাপনের পাশাপাশি দুই-রাষ্ট্রভিত্তিক সমাধানের প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন।এরই ধারাবাহিকতায় দেশটির সেক্রেটারি অব স্টেট অ্যান্থনি ব্লিঙ্কেন ঘোষণা দিয়েছিলেন, যুক্তরাষ্ট্র জেরুজালেমে মার্কিন কনস্যুলেট ফের খোলার পরিকল্পনা করছে, যা ২০১৯ সাল থেকে বন্ধ রয়েছে।
এ কনস্যুলেট জেরুজালেমে বসবাস করা ফিলিস্তিনি শুধু নয়, পশ্চিমতীর ও গাজার হাজার হাজার বাসিন্দাকেও সেবা দিত।