শিরোনাম
করোনা মহামারি শুরুর আগে ২০১৯ সালে ব্রাজিলের ফজ দো ইগুয়াকু শহরে ২০ লাখ পর্যটক ভ্রমণ করেছিলেন। সূত্র: আরব নিউজ
দক্ষিণ আমেরিকার এ দেশটির ইগুয়াকু জলপ্রপাতটিই ছিল পর্যটকদের মূল আকর্ষণ। কিন্তু করোনা মহামারির পর শহরটি একেবারেই পর্যটক শূন্য হয়ে পড়ায় নগর কর্তৃপক্ষ এখন মুসলিম বিশেষ করে মধ্যপ্রাচ্যের পর্যটকদের জন্য শুরু করতে যাচ্ছে হালাল ট্যুরিজম।
এর অন্যতম কারণ হচ্ছে শহরটি একটি ত্রিদেশিয় সীমান্ত এলাকায় অবস্থিত। এর পাশেই রয়েছে আর্জেন্টিনা ও প্যারাগুয়ের সীমান্ত। ইগুয়াকু শহরের ২ লাখ ৬০ হাজার বাসিন্দাদের মধ্যে ৭ শতাংশ অর্থাৎ ২০ হাজার অধিবাসীই আরব মুসলিম। প্যারাগুয়েতেও কয়েক হাজার মুসলিম বসবাস করেন।
এ অঞ্চলে ইসলামি স্থাপত্যকলার অন্যতম নিদর্শন হচ্ছে ওমর বিন আল-খাতাব মসজিদ। ফজ দো ইগুয়াকু শহরে রয়েছে অসংখ্য আরবীয় রেস্তোরাঁ এবং ঐতিহ্যবাহী শহরটির কর্তৃপক্ষ আরবি ভাষায় পারদর্শী ট্যুর গাইডেরও ব্যবস্থ্যা রাখছেন।
সিডিয়াল হালাল ট্যুরিজমের সিইও আলী সাইফি বলেন, আমাদের শহরে মুসলিম পর্যটকদের জন্য উপযোগী করে গড়ে তোলা হয়েছে। আমরা এখন সরকারের সহযোগীতার প্রত্যাশা করছি। তিনি আরও বলেন, পৃথিবিতে ১৯০ কোটি মুসলিমের বসবাস। আমরা চাই সারা বিশ্বের মুসলিম পৃথিবীতে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা ইসলামি ঐতিহ্য ঘুরে দেখুক।
২১ বছর আগে ল্যাটিন আমেরিকায় পারি দেওয়া মরক্কো বংশোদ্ভূত শেখ আব্দের রহমান আগদৌ বলেন, মুসলিমদের জীবনাচারের উল্লেখযোগ্য অনুষঙ্গ হচ্ছে হালাল খাবার।
তার মতো অনেকে এখানে শতভাগ হালাল খাবারের ব্যবস্থা করেছেন তাদের রেস্তোরাঁয়। শহরের মেয়রও তাদের এ হালাল কনসেপ্টের প্রশংসা করেছেন।