শিরোনাম
মড়ক দুর্ঘটনার কারণে মাথায় আঘাত পান এক তরুণী। আঘাতের কারণে দুই সপ্তাহ কোমায় ছিলেন তিনি। কোমা থেকে জাগার পর তার কথার ধরনে পরিবর্তন দেখে অবাক হয়ে গেছেন চিকিৎসকরা।
ব্রিটিশ গণমাধ্যম ডেইলি মেইলের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, জীবনে কখনো নিউজিল্যান্ডে যাননি যুক্তরাষ্ট্রের লস অ্যাঞ্জেলেসের বাসিন্দা সামার ডিয়াজ। এমনকি ওই অঞ্চলের কারো সংস্পর্শেও আসেননি। অথচ কোমা থেকে উঠে অনর্গল কিউই উচ্চারণে কথা বলে যাচ্ছেন তিনি।
ওই প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ২০২০ সালের নভেম্বরে রাস্তার পাশে দাঁড়িয়ে থাকার সময় একটা এসইউভি সামারকে ধাক্কা দেয়। আঘাতের কারণে তিনি কোমায় চলে যান। দুই সপ্তাহ পর কোমা থেকে জেগে উঠেন তিনি।
কোমা থেকে জেগে উঠার পর তার দুর্ঘটনার দিনেই কোনো স্মৃতিই ছিল না সামারের। তিনি দিশেহারা ও বিভ্রান্ত বোধ করেছিলেন এবং প্রথমে কথা বলতে পারেনিও। ইশারায় কথা বলা বলেছিলেন সামার। এই অবস্থায় চিকিৎসকরা তাকে থেরাপি দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেন। থেরাপি দেওয়ার পর তার কথার ধরনে অদ্ভুত পরিবর্তন আসে।
সামারের কথার ধরন দেখে নার্সরা তাকে জিজ্ঞাসা করেন, তার বাড়ি কোথায়। সামার যখন জানায় তার বাড়ি লস অ্যাঞ্জেলেসে তখন নার্সরা প্রথমে বিশ্বাসই করতে চাননি। রোগীর এই পরিবর্তন দেখে তারা চিকিৎসকদের বিষয়টি অবহিত করেন।
তবে শুধু কিউই উচ্চারণই নয়, ব্রিটিশ, ফ্রেন্স, রাশিয়ানসহ বেশ কয়েকটি উচ্চারণে কথা বলেন সামার। এই উচ্চারণের কোনোটা কয়েক ঘণ্টা আবার কোনোটা মাস অবধিও থাকে।
চিকিৎসকরা জানান, সামার ভয়াবহ দুর্ঘটনার শিকার হয়ে বিরল মেডিকেল কন্ডিশন ফরেন অ্যাকসেন্ট সিনড্রোমে (এফএএস) ভুগছেন। এই কারণেই তার ভাষার উচ্চারণ বদলে গেছে। সাধারণত আঘাতজনিত কারণে মস্তিষ্কে ক্ষতি হলে রোগীরা এই বিরল রোগে ভুগতে পারেন।