শিরোনাম
ইথিওপিয়া থেকে নাগরিকদের অবিলম্বে দেশে ফেরার নির্দেশ দিয়েছে কাতার। বুধবার আদ্দিস আবাবার কাতার দূতাবাস এই নির্দেশ ছাড়াও জানিয়েছে, তারা ইথিওপিয়ার পরিস্থিতি সতর্কভাবে পর্যবেক্ষণ করছেন।
টাইগ্রের বিদ্রোহীদের সঙ্গে যুদ্ধের মধ্যে সোমবার ইথিওপিয়ায় জরুরি অবস্থা ঘোষণা করা হয়। উত্তরে টাইগ্রে অঞ্চলের সরকারবিরোধী যোদ্ধারা রাজধানী অভিমুখে যাওয়ার হুমকি দেওয়ার পরই সরকার এ পদক্ষেপ নেয়।
মঙ্গলবার দেশটির রাষ্ট্র নিয়ন্ত্রিত সম্প্রচারমাধ্যম ফানা জানায়, দেশের বিভিন্ন অংশে সন্ত্রাসী গোষ্ঠী টিপিএলএফ কর্তৃক সংঘটিত নৃশংসতা থেকে বেসামরিক নাগরিকদের রক্ষায় জরুরি অবস্থা জারি করা হয়েছে। টাইগ্রে পিপলস লিবারেশন ফ্রন্ট বা টিপিএলএফ প্রায় এক বছর ধরে সরকারি বাহিনীর সঙ্গে লড়াই করছে।
টিপিএলএফ সম্প্রতি টাইগ্রের পাশের আমহারা অঞ্চলের কৌশলগত শহর দেসিয়ে ও কোম্বলছা দখলে নেয়। দেশের দক্ষিণে আরও অগ্রসর হয়ে রাজধানী আদ্দিস আবাবা অভিমুখে যাওয়ার ইঙ্গিত দেয় সশস্ত্র ওই বাহিনী। সরকার অবশ্য বলছে, শহর দুটি নিজেদের নিয়ন্ত্রণ রাখতে সরকারি সেনারা লড়াই চালিয়ে যাচ্ছেন।
টিপিএলএফ সেনা শিবিরগুলোতে হামলা করেছে দাবি করে গত নভেম্বরে টাইগ্রেতে অতিরিক্ত সেনা পাঠায় ইথিওপিয়ার প্রধানমন্ত্রী আবি আহমেদ। টিপিএলএফ অবশ্য দাবি করছে, আবি আহমেদ নেতৃত্বাধীন কেন্দ্রীয় সরকার প্রতিবেশী মিত্রদেশ ইরিত্রিয়ার সেনাদের নিয়ে তাদের বিরুদ্ধে সমন্বিত হামলা চালাচ্ছে।
সংঘাতের মধ্যে গত জুনে ইথিওপিয়ায় জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। বিপুল সংখ্যাগরিষ্ঠতা পায় আবি আহমেদের দল। কিন্তু টাইগ্রের বিদ্রোহী যোদ্ধারা আবারও সংগঠিত হয়ে অঞ্চলটির বেশির ভাগ এলাকা নিজেদের দখলে নেয়। এরপর পাশের আফার ও আমহারা অঞ্চলের নিয়ন্ত্রণ নিতে লড়াই শুরু করে টিপিএলএফ।