বিদ্রোহীদের রুখতে ইথিওপিয়ায় জরুরি অবস্থা জারি 

ফানাম নিউজ
  ০৩ নভেম্বর ২০২১, ১২:২২

বিদ্রোহীদের রুখতে ইথিওপিয়ায় জরুরি অবস্থা জারি করেছে দেশটির সরকার। মঙ্গলবার (২ নভেম্বর) টাইগ্রে অঞ্চলের বিদ্রোহীরা দেশটির রাজধানী আদ্দিস আবাবা দখলের হুমকি দেওয়ার পর জরুরি অবস্থা জারি করা হয়।

ইথিওপিয়ার উত্তরাঞ্চলের বিদ্রোহীগোষ্ঠী টাইগ্রে পিপলস লিবারেশন ফ্রন্টের (টিপিএলএফ) বিদ্রোহীরা দাবি করে তারা উত্তরাঞ্চলের আরও কিছু অঞ্চলের নিয়ন্ত্রণ নিয়েছে। এরপর তারা রাজধানী আদ্দিস আবাবা অভিমুখে অগ্রসরের চিন্তা-ভাবনা করছে।


দুদিন আগেই দেশটির নাগরিকদের টিপিএলএফ এর সদস্যদের বিরুদ্ধে অস্ত্র হাতে তুলে নিতে আহ্বান জানান প্রধানমন্ত্রী আবি আহমেদ। এর পরই এলো জরুরি অবস্থা জারির ঘোষণা।

প্রধানমন্ত্রী আবি আহমেদ বলেছেন, ‘বিদ্রোহীদের অগ্রযাত্রা দেশকে ধ্বংসের দিকে ঠেলে দিচ্ছে। সব ধরনের অস্ত্র এবং শক্তি বৈধ উপায়ে ব্যবহার করে দেশের মানুষকে এই গোষ্ঠীর বিরুদ্ধে সংগঠিত হতে হবে।

এদিকে মঙ্গলবার বাসিন্দাদের কাছে থাকা অস্ত্র নিবন্ধন এবং নিজ নিজ এলাকা রক্ষার প্রস্তুতি নিতে বলেছে আদ্দিস আবাবা কর্তৃপক্ষ।

টিপিএলএফ দাবি করেছে, রাজধানী আদ্দিস আবাবা থেকে প্রায় ৪০০ কিলোমিটার দূরের দুটি শহরের দখল নিয়েছে। এখন তারা রাজধানী অভিমুখে অগ্রসর হওয়ার কথা ভাবছে।

আদ্দিস আবাবা দখলের চেষ্টা না করতে বিদ্রোহীদের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। আফ্রিকায় নিযুক্ত মার্কিন বিশেষ দূত জেফরি ফেল্টম্যান বলেন, ‘আমরা আদ্দিসে টিপিএলএফের যে কোনো পদক্ষেপ বা টিপিএলএফের আদ্দিসকে অবরোধ করার বিরোধিতা করি।’

২০১৮ সালের আবি আহমেদের হাতে ক্ষমতা হস্তান্তরের আগে ইথিওপিয়ায় সর্বশেষ ছয় মাসের জন্য জরুরি অবস্থা জারি করা হয়েছিল। সেই সময় কারফিউ জারি করে সীমিত করা হয়েছিল জনসাধারণের চলাচল। ছয় মাসে আটক করা হয় হাজার হাজার মানুষকে।

টাইগ্রে অঞ্চলে সরকারি বাহিনীর সাথে টিপিএলএফ বিদ্রোহীদের সংঘাত চলছে এক বছরের বেশি সময় ধরে। এই সময়ে হাজার হাজার মানুষ নিহত হয়েছে এবং দুই মিলিয়নেরও বেশি মানুষ ঘরছাড়া হয়েছে। সূত্র: বিবিসি