শিরোনাম
আফগানিস্তান ছাড়লেও এর আশপাশের কোনো একটি দেশে সামরিকঘাঁটি তৈরি করতে চায় যুক্তরাষ্ট্র। এ বিষয়ে ইতোমধ্যে প্রতিবেশী দেশগুলোর সঙ্গে আলোচনাও করেছে ওয়াশিংটন।
রাশিয়ান টেলিভিশনকে (আরটি) দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে রাশিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রী সের্গেই ল্যাভরভ এসব কথা বলেন। সের্গেই ল্যাভরভ বলেন, এ প্রস্তাব পাকিস্তান, উজবেকিস্তান ও কিরগিজস্তানের কাছে পাঠানো হয়েছে। কিন্তু এসব প্রস্তাবে দেশগুলো সাড়া দেয়নি।
রুশ পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, আমেরিকানদের প্রচেষ্টা সম্পর্কে আমরা ভালোভাবেই সচেতন আছি। তারা তাদের স্বার্থ উদ্ধারের জন্য নানাদিক থেকে চাপ দেবে। আমি শুনেছি, যুক্তরাষ্ট্র ভারতকে রাজি করানোর চেষ্টা করছে, যেন ভারতীয় ভূখণ্ডে পেন্টাগনকে কিছু সুযোগ দেওয়া হয়।
ল্যাভরভ বলেন, ভ্লাদিমির পুতিন ও বাইডেন এ বিষয়ে জেনেভা সম্মেলনে আলোচনা করেছেন। রুশ পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনকে বলেছেন, মধ্য এশিয়ায় যুক্তরাষ্ট্রের সেনা মোতায়েন সংক্রান্ত যে কোনো পদক্ষেপের বিরোধী রাশিয়া।
আফগানিস্তানের কাছাকাছি কোথাও সেনা মোতায়েনে যুক্তরাষ্ট্রের প্রস্তাবে ইতোমধ্যে বেশ প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি হয়েছে। আফগানিস্তানের জাতীয় সংহতি আন্দোলনের প্রধান সাইয়েদ ইসহাক গিলানি বলেন, নিশ্চিতভাবে, ঘাঁটি হয়তো দায়েশ বা আল কায়েদা দমনের জন্য হবে। কিন্তু ফল ভোগ করতে হবে আফগানদের। সাবেক কূটনীতিক শুকরিয়া বারেকজাই বলেন, আশপাশের কোনো দেশে মার্কিন সামরিকঘাঁটি তৈরি করা হলে এ অঞ্চলের নিরাপত্তা ঝুঁকিতে পড়বে।
ইসলামিক আমিরাতের উপমুখপাত্র বিলাল কারিমি বলেন, ইসলামিক আমিরাত তার নীতিতে অটল। আফগানিস্তানের পক্ষ থেকে প্রতিবেশী দেশ বা বিশ্বের কোনো দেশ হুমকির সম্মুখীন হবে না। ইসলামিক আমিরাত চায় সব দেশের সঙ্গে ভালো সম্পর্ক।