শিরোনাম
আগামী ২০২৩ সালে ত্রিপুরা রাজ্যের নির্বাচনে তৃণমূল কংগ্রেস সরকার গঠন করবে বলে মন্তব্য করেছেন দলটির সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি বলেন, মামলা করে আর হামলা করে এই দলকে রোখা যায় না। এটা না সিপিআইএম, না কংগ্রেস। এটা ‘কাশ্মীরের দল’ তৃণমূল কংগ্রেস। এই দলকে আপনি যতো বেশি আঘাত করবেন, দলের কর্মীদের প্রতিবাদের ভাষা ততো বেশি তীব্রতর হবে।
রোববার (৩১ অক্টোবর) সর্দার বল্লভ ভাই প্যাটেলের জন্মদিন উপলক্ষে ত্রিপুরায় আয়োজিত এক জনসভায় তিনি এসব কথা বলেন।
অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, ঢালাও হারে প্রতিশ্রুতি দিয়ে ক্ষমতায় আসার পর বিজেপি সরকার এ রাজ্যে একটি প্রতিশ্রুতিও পালন করতে পারছে না।
তিনি বলেন, বাংলায় যদি কন্যাশ্রী হতে পারে, তবে এ রাজ্যে নয় কেন? বাংলায় যদি লক্ষ্মীর ভান্ডার করে প্রতি নারীর অ্যাকাউন্টে ৫০০ টাকা করে প্রদান করা যায়, তবে এরাজ্যেই বা নয় কেন?
অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় আরও বলেন, বাংলায় যদি বিনামূল্যে রেশন হতে পারে, তবে এ রাজ্যে হবে না কেন? সর্বভারতীয় তৃণমূল কংগ্রেস সভানেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের এমন আরও একাধিক প্রকল্পের কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, ২০২৩ সালের ফেব্রুয়ারি মাসেই ত্রিপুরা রাজ্যে ক্ষমতায় আসছে তৃণমূল কংগ্রেস সরকার। আর ক্ষমতায় আসার ঠিক তিন মাসের মধ্যেই ত্রিপুরা রাজ্যেও চালু করা হবে এই উন্নয়নমূলক বিভিন্ন প্রকল্প।
এদিকে সভা বানচাল করার ব্যাপারে আজ যেসব বক্তা পুলিশ প্রসাশনের উপর দোষারোপ করেছেন, তাদেরকে উদ্দেশ্য করে তিনি তা না করার অনুরোধ করেন। অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, চাকরি করার সুবাদে বাধ্য হয়েই চাপের মুখে তারা যা করার সেটাই করেছেন। তবে মনে রাখতে হবে ঘাড়ে পদ্মফুল নয়, অশোক স্তম্ভ রয়েছে।
ত্রিপুরার মুখ্যমন্ত্রীকে উদ্দেশ্য করে সর্বভারতীয় তৃণমূল নেতা বলেন, গায়ের জোরে ত্রিপুরায় আর গণতন্ত্র হরণ চলবে না। স্বাধীনতা ফিরিয়ে দেওয়া হবে রাজ্যবাসীর। তিনি বলেন, আজকের দিনে পাঁচ শতাধিক মানুষের সামনে দাঁড়িয়ে বলছি, ত্রিপুরায় ছুটি হয়ে গিয়েছে বিপ্লব দেবের। একবার রাজ্যের মানুষকে স্বাধীনভাবে ভোট দেওয়ার সুযোগ দিয়ে দেখুক বিজেপি, অণুবীক্ষণ যন্ত্র দিয়েও ত্রিপুরায় তাদের খুঁজে পাওয়া যাবে না। কত ধানে কত চাল, তা তখনই বুঝতে পারবে বিজেপি।
জনসভা শেষে সুরমা বিধানসভা কেন্দ্রের বিধায়ক আশিস দাস এদিন তৃণমূল কংগ্রেসে যোগদান করেন। এছাড়াও পশ্চিমবঙ্গ বিজেপির হেভিওয়েট নেতা রাজীব বন্দোপাধ্যায়ও তৃণমূল কংগ্রেসের যোগ দেন। তাদের হাতে দলীয় পতাকা তুলে দিয়ে স্বাগত জানান সর্বভারতীয় তৃণমূল কংগ্রেসের সাধারণ সম্পাদক।
জনসভায় আরও উপস্থিত ছিলেন সংসদ সদস্য সুস্মিতা দেব, কুনাল ঘোষ, ডা. সুশান্ত সেন, প্রদেশ তৃণমূলের স্টিয়ারিং কমিটির আহ্বায়ক সুবল ভৌমিক প্রমুখ।
এদিকে তৃণমূল কংগ্রেসের জনসভা শেষে ত্রিপুরা বিজেপির পক্ষ থেকে আয়োজিত এক সাংবাদিক সম্মেলনে তাদের এই সভাকে ফ্লপ শো বলে মন্তব্য করা হয়। পাশাপাশি রাজ্য সরকার এবং রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী বিপ্লব কুমার দেবকে নিয়ে করা মন্তব্যের বিষয়ে নিন্দা জানানো হয়।
সূত্র: জাগো নিউজ