শিরোনাম
শুরুটা ছিলো সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুক দিয়ে। এরপর ইনস্টাগ্রাম, ম্যাসেঞ্জার আর হোয়াটসঅ্যাপ। সবগুলো প্রতিষ্ঠানের মূল কোম্পানিকে ফেসবুক নামেই চালিয়ে আসছিলেন মার্ক জাকারবার্গ। অবশেষে এসে সেই নাম পরিবর্তন করে রাখা হলো ‘মেটা’।
জানা গেছে, রি-ব্র্যান্ডিংয়ের অংশ হিসেবেই ফেসবুকের কর্পোরেট পরিবর্তন করে নতুন নামটি রাখা হয়েছে। ‘মেটা’শব্দটির অর্থ গণ্ডির বাইরে। এই শব্দটি এসেছে গ্রিক শব্দ থেকে।
নাম পরিবর্তনের ব্যাপারে ফেসবুকের প্রতিষ্ঠাতা মার্ক জাকারবার্গ বলেন, ‘সময়ের সঙ্গে সঙ্গে ব্যবহারকারীদের কোম্পানির অন্যান্য পরিষেবাগুলোর জন্য আর ফেসবুক ব্যবহার করা লাগবে না। নতুন নামটি সেই বিষয়টি সামনে আনছে।’
‘মেটাভার্স’ নামে মূলত একটি অনলাইন দুনিয়া তৈরির পরিকল্পনা উন্মোচন করেছেন জাকারবার্গ। এই দুনিয়ায় ভিআর হেডসেট ব্যবহার করে ভার্চুয়ালি বিভিন্ন কাজ করার পাশাপাশি, গেইম খেলা এবং যোগাযোগ করতে পারবে ব্যবহারকারীরা।
জাকারবার্ক বলেন, ‘আমরা যা কিছু করছি এবং ভবিষ্যতে করবো, সেটা বিদ্যমান ব্র্যান্ডটি সম্ভবত উপস্থাপন করতে পারছে না, তাই পরিবর্তন দরকার। একজন বহিরাগতের কাছে, মেটাভার্স দেখতে ভিআর এর একটি সংস্করণের মতো হতে পারে, কিন্তু কিছু মানুষ বিশ্বাস করে যে এটি ইন্টারনেটের ভবিষ্যৎ হতে পারে।’
তিনি বলেন, ‘সেখানে মানুষ কম্পিউটারে কাজ করার পরিবর্তে, মেটাভার্স নামের ভার্চুয়াল জগতে হেডসেটের সাহায্যে প্রবেশ করতে পারবে। যেখানে সব ধরণের ডিজিটাল পরিবেশের সাথে সংযোগ স্থাপন করা যাবে। এই ভার্চুয়াল জগতটি কাজ, খেলা এবং কনসার্ট থেকে শুরু করে বন্ধুবান্ধব এবং পরিবারের সঙ্গে যোগাযোগের জন্যও ব্যবহার করা যাবে বলে আশা করা হচ্ছে।’
বৃহস্পতিবার (২৯ অক্টোবর) ফেসবুকের বার্ষিক কনফারেন্সে নাম পরিবর্তনের ঘোষণা দিয়েছেন জাকারবার্গ। এরপর ক্যালিফোর্নিয়ার মেনলো পার্কে ফেসবুকের সদর দপ্তরে একটি নতুন সাইনবোর্ডে ‘মেটা’র লোগো উন্মোচন করা হয়।
উল্লেখ্য, ‘মেটা’র অন্তর্ভুক্ত প্রতিষ্ঠান ফেসবুক, ইনস্টাগ্রাম এবং হোয়াটসঅ্যাপের মতো স্বতন্ত্র প্ল্যাটফর্মগুলোর কোনো নাম পরিবর্তন হবে না।
সূত্র: আরটিভি